বুধবার বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জেলার গৌরনদী মডেল থানায় আটক ছিলেন মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ ঘোষসহ তার অপর দুই সহযোগি। অবশেষে রাত সাড়ে দশটায় তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় মুক্তি পেয়েছেন।
মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের মাইনরিটি পরিবারের স্কুল ছাত্র সৌরভ মন্ডলের হত্যাকান্ড ও সম্প্রতি সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি মন্দির ভাঙ্গার ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে আমি গৌরনদী থানায় যাই। এ সময় আমার সাথে ছিলেন সংগঠনের অপর দুই সদস্য দিলিপ কুমার রায় ও রসরাজ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওসিকে আগে থেকেই মোবাইল করে এসে গৌরনদীতে মাইনরিটি সম্প্রদায়ের মন্দির ভাঙ্গাসহ নানাবিধ সমস্যার কথা ওসিকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে তিনি বলেন-আমি কারো চাকর নই। পরবর্তীতে আমাদের তিনজনের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়। এ সময় ওসির নির্দেশে এসআই সোহাগ আমাদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে ওসির রুম থেকে বের করে তদন্ত ওসির রুমে নিয়ে আটক করে রাখেন। পরবর্তীতে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রব হাওলাদার ও চাঁদশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত দের মধ্যস্থতায় আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, হঠাৎ করে তার কক্ষে তিন ব্যক্তি প্রবেশ করেন। এ সময় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামের এক ব্যক্তি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী এবং মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান পরিচয় দেন। তিনি গত ২৩ ফেব্রুয়ারী থানায় দায়ের হওয়া শিশু সৌরভ মন্ডল হত্যা মামলার বিষয়ে আমার কাছে নানা কৈফিয়ত চান। মামলার অগ্রগতি তাকে জানানোর পরেও তিনি অশোভন আচরণ করেন। একপর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সাথে থাকা দিলিপ কুমার রায় অনুমতি না নিয়েই আমার (ওসির) ছবি তুলতে থাকেন। ছবি তোলার বিষয়ে আমি আপত্তি করলে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তেজিত হয়ে নানাভাবে প্রভাব বিস্তারসহ আমাকে (ওসি) দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে তার (রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) দেওয়া পরিচয় তাৎক্ষণিক যাচাই করে কোনো সত্যতা না পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের তিনজনকেই আটক করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে তারা ভুল স্বীকার করার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।