ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে আমতলীতে কাঁচা এবং আধা পাকা প্রায় ২শ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নি¤œাঞ্চল ও পায়রা নদী সংলগ্ন ১৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,ঘূর্ণিঝড় ও অমানশ্বার পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমতলী ফেরীঘাট ,পৌরসভার ৩টি ওযার্ড,চাওড়ার বৈঠাকাটা,উত্তর ঘটখালী ,গুলিশাখালীর আঙ্গুলকাটা,নাইয়াপাড়া,হরিদ্রাবাড়িয়া,আমতলীর পশ্চিম আমতলী, লোছা ও আরপাঙ্গাশিয়ার ঘোপখালী, বালিয়াতলী, চরকগাছিয়া গ্রামসহ উপজেলার নি¤œাঞ্চল ও পায়রা নদী সংলগ্ন গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ে আমতলী এম ইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়েছে।
রাতে ও সকালে উপজেলার ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহনকারীদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। সাধারণ মানুষের রাতের আতঙ্ক দিনে স্বাভাবিক হয়েছে এবং সকাল ১১টার দিকে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন বাড়ি ফিরে গেছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো সরোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপণ করা শুরু হয়েছে। প্রশাসন সব ধরনের পরিস্থিতি মোকবেলায় সচেষ্ট রয়েছে।