যশোরের কেশবপুরে ঘূর্ণি ঝড় ফণী প্রাণ হাণীর মতো কোন ঘটনা না ঘটলেও ইরি বোরো আমন ধান এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে প্রাকৃতিক ধূযোগ হওয়ায় কাঁটা ধান জমিতে ফেলে রাখাসহ কাটার অপেক্ষায় থাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি ফল আম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল সহ বিভিন্ন গাছের ডাল ভেঙ্গে গেছে।
পাঁজিয়া গস্খামের কৃষক বারিক গাজী, আবদুল খালেক, আবদুল বাতেন,ছোহরাব গাজী, আবদুল গফুর,বেতীখোলা গস্খামের কৃষক শহিদুল ইসলা, রাজনগর বাঁকাবর্শী এলাকার কৃষক রেজাউল ইসলামসহ কৃষকরা জানান, ভরা ধান কাঁটা মৌসুমে ফণীর প্রভাবে জমিতে কাঁটা ধান তারা ঘরে তুলতে পানের নি। এ ছাড়া যে সকল ধান ক্ষেতে ধান কাটার দরকার ছিলো সে ধান ক্ষেত বাতাসে জমিতে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রশান ও থানা প্রশাসন ফণী মোকাবেলায় উ্েল্লখ যোগ্য ভূমিকা রাখায় সাধারণ মানুষের উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি হয়নি। বেতীখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, তার বিদ্যালয়ে ২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছিলো। ইউপি মেম্বার রেজাউল ইসলাম জানান, বড় ধরণের কোন ক্ষয় ক্ষতি তার এলাকায় হয়নি। পাঁজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানশফিকুল ইসলাম জানান, ফণীর দূযোগ মোকাবেলায় তার ইউনিয়নে ভলেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোন ক্ষয় ক্ষতির খবর মেলেনি। এ রিপোর্ট লোখা পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। অপর দিকে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।