রাজশাহীর বাঘায় চোরাই ৬টি গরু, একটি ছাগল, একটি সিন্ধুক উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাঘা থানার পুলিশ উপজেলার রুস্তুমপুর ভারতীপাড়া গ্রামের মৃত জমির ফকিরের ছেলে মোমিন ফকিরের বাড়ি থেকে এগুলো উদ্ধার করে। গরু, ছাগল ও সিন্ধুকের মুল্য প্রায় সাড়ে লক্ষ টাকা।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী চকসিংগা গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে রাশিদুল ইসলামের দুটি, আড়ানী দিয়াড়পাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী উর্মি খাতুনের একটি, চারঘাট উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের জমির উদ্দীনের ছেলে রাকিব হোসেন বাচ্চুর একটি গরু চুরি। এ গরু বিভিন্নস্থানে খোঁজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা জানতে পারে রুস্তমপুর ভারতীপাড়া গ্রামের মোমিন ফকিরের বাড়িতে রাখা আছে। পুলিশকে খবর দিয়ে বেলা ১১টার দিকে গরু ৬টি গরু, একটি ছাগল ও একটি সিন্ধুক উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তবে বাড়ির মালিক মোমিন পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
গরুর মালিক রাকিব হোসেন বাচ্চু জানান, বুধবার রাতে আমার বাড়ি থেকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে একটি গরু চুরি হয়। গরু চুরি হওয়ার পর নরম মাটিতে গরুর পায়ের চিহৃ দেখে চোর মোমিনের বাড়ি পর্যন্ত যায়। সেখানে গিয়ে দেখি মোমিনের বাড়িতে ৬টি গরু বাধা রয়েছে। এরমধ্যে আমর গরুটি রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুর মালিক রাশিদুল ইসলাম, উর্মি খাতুন, রাকিব হোসেন বাচ্চু বাদি হয়ে মোমিন ও তার স্ত্রী শরিফা বেগমের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আড়ানী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর (রুস্তমপুর) লিটন আলী বলেন, রুস্তমপুর এলাকার মানুষের সাথে মোমিনের পরিবারের কোন মানুষের সম্পর্ক নেই। মোমিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের শ্যালো মেশিন দিয়ে ভ্রাম্যমান হিসেবে গম ও ধান ভাঙ্গানোর কাজ করে। তবে সে এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত কখনো কল্পনা করতে পারেনি। তবে সে যদি দোষী হয় তার আইনীভাবে শাস্তি হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বাঘা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) আবদুল ওহাব বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে মোমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬টি গরু, একটি ছাগল ও একটি লোহার সিন্ধুক উদ্ধার করা হয়েছে।
এরমধ্যে ৪টি গরুর মালিককে সনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চুরি যাওয়া সিন্ধুকটি আড়ানীর টুকু প্রফেসারের বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে মোমিন ফকির ও তার স্ত্রী শরিফা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে।