নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ২ শতাধিকের বেশি ঘরবাড়ি সহ গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১২টার পর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড বেগে বাতাসের সাথে প্রচন্ডঝড় আঘাত আনে। এতে করে উপজেলার পৌর শহর, চন্ডিগড়, কাকৈরগড়া, বিরিশিরি, কুল্লাউড়া ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়। বিদ্রুতের খুঁটি ও তার ছিরে গিয়ে রাত থেকেই বিদ্রুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
এই দিকে পৌর শহর তেরি বাজার এলাকায় ঝড়ের তান্ডবে একটি বড় আমগাছ মাটি থেকে উপরে গিয়ে ঘরের উপর পরলে অল্পের জন্য ঘরের ভিতরে থাকা তিনজন রক্ষা পায়। মোক্তারপাড়া এলাকার একটি বাড়ীর মেজঘরের উপরে বিশাল আকৃতির একটি গাছ পড়ে ঘরটি ভেঙ্গে যায়। বিরিশিরি ইউয়িনের শিরবির গ্রামের আশিকুল ইসলামের একটি মাত্র বসতঘর ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। অল্পের জন্যে ২টি শিশু সহ স্বামী ও স্ত্রী রক্ষা পান। ঐ গ্রামের আজিজুল ইসলাম,আঃ কুদ্দুছ,আঃ রাশিদ, আবুল কালামের,জুয়েল এর বাড়ীর পাকবেড়া ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলে এই ঝড়। বাকলজোড়াইউনিয়েনর,বালিচান্দা,রামনগর,গুজিরকোনা,কাগজোড়,পাইকপাড়া,কোনাপাড়া,শ্রীরামখিলা,শালুয়াকান্দা,চারি গাঁওপাড়া, নগর সিংহা,সাংসা,চোটকাটুরী সহ আশপাশের এলাকায় অসংখ্য বাড়ীঘর এই প্রচন্ড ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের গাছপালা ভেঙ্গে রাস্তার উপর ,ঘরের উপর ফেলে রাখে ঝড়। এই ঝড়ে উপজেলার কোথায় নিহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। স্থাণীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, বৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বাকলজোড়া ইউনিয়নের বিশাল আকারে হয়েছে।সকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেছি। চাহিদা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে যথাযত চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ প্রতিনিধিকে জানান,হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আলোচনা করে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।