লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশীতে মেঘনা নদীর তীরের মাছ ঘাট দখলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় স্থানীয় আ.লীগের দলীয় কার্যালয়সহ ৫টি বসত ঘর- ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার এলাকায় আবারও ঘটনা ঘটে। এতে নিয়ে ফের আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যেসএলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে আনোয়ার ডালী, স্বপন কর্মকার, হারুন মৃধা, ফারুক মাঝি. দেলোয়ার ডালী, রুমা আক্তার, জরুফা বেগম ও কাদের হাওলাদারসহ ৮ জনকে উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভর্তি করানো হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা সবাই উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের কর্ম-সমর্থক বলে দলীয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীর পুরান বেড়ির মাথাও চান্দার খাল নামক স্থানে অবৈধ মাছ ঘাট বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে আলতাফ হোসেন হাওলাদার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ওই কমিটি বিলুপ্ত করে স্থানীয় ওসমান খাঁনকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যেও কমিটি ঘোষনা করেন উপজেলা আ’লীগ। ওই থেকে ওসমান খান ও আলতাফ হোসেনের অনুসারীদের সাথে কয়েক দফা মারামারি স্থানীয় দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করা হয়। এর জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে ওসমান খানের লোকজন আলতাফ হোসেনের অবৈধ মাছের আড়ত দখল করতে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে স্থানীয় আ.লীগের দলীয় কার্যালয় হামলা করে ভাংচুর চালিয়ে নারীসহ ১০ জনকে আহত করে হামলাকারিরা।
রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনায় শুনে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে এনেছেন। দুই গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়র রয়েছে। ফের কেউ মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।