‘কন্ঠ’ ছবিটিতে এক ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শুক্রবারই শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত এই ছবিটি কলকাতার প্রেক্ষাগৃহগুলিতে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটির প্রশংসায় সকলেই পঞ্চমুখ। আসলে একটি লড়াইয়ের গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে ছবিটিতে। আর সেই লড়াইয়ের দীর্ঘ যাত্রা শেষে উঠে দাঁড়ানোটাই প্রধান হয়ে উঠেছে। আর সেখানে অনুঘটকের কাজ করেছেন স্পিচ থেরাপিস্ট রোমিলা ওরফে জয়া। ছবির নায়ক একজন রেডিও জকি। কন্ঠই যার জীবন, সেই জকির গলার ক্যানসার ধরা পড়ে।
বাদ দিতে হয় ভয়েস বক্স। ফলে হতাশা গ্রাস করে তাকে। যদিও স্ত্রী পৃথা ওরফে পাওলি দাম এগিয়ে চলার প্রেরণা যুগিয়ে চলে প্রতি মুহূর্তে, কিন্তু একপর্যায়ে স্পিচ থেরাপিস্টের নিষ্ঠা এবং নায়কের অধ্যাবসায়ে এক নতুন যাত্রা সম্পূর্ণ হয়। দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে এসে বারে বারেই বলেছেন, জয়ার আন্তরিক অভিনয় ও ঐকান্তিক চেষ্টার যে প্রকাশ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তা ভুলবার নয়। ছবির দ্বিতীয় পর্ব জয়ার সাহায্যেই এগিয়ে গিয়েছে। নায়ক হিসেবে পরিচালক শিবপ্রসাদের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে। তবে জয়ার চরিত্রটি ছিল একটি ব্যাতিক্রমী চরিত্র। ছবির ট্রেলার মুক্তির পর জয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সত্যিই স্পিচ থেরাপিস্টের চরিত্রটা বেশ কঠিন ছিল। এক্সপ্রেসিভ। নর্মাল ভাষায় কথা বলছে না। আমি আবারও বলছি, সাউন্ড বক্স বাদ দিয়ে কথা বলা এত সহজ নয়। প্রথমে ভেবেছিলাম, এটা কী করে করব? কাজটা করার সময় যদি না হয়? কী হবে তা হলে? তবে ছবি মুক্তির পর প্রমাণ হয়ে গিয়েছে জয়ার ব্যাতিক্রমী সাধনার বিষয়টিও। চলচ্চিত্র আলোচকরাও জয়ার প্রশংসা করেছেন। তাদের মতে, এই সিনেমার প্রথম অর্ধ যদি পাওলির হয়, দ্বিতীয় অর্ধ জয়ার। আর ফরিদপুরের মেয়ের ভূমিকায় জয়া এমনিই সাবলীল ও রৌদ্রকরোজ্জ্বল যে দর্শকের মেঘ আর পর্দার মেঘ কেটে যেতে থাকে ওর উপস্থিতিতে। মারণ ব্যাধিটির সঙ্গে লড়াইটাও হয়ে দাঁড়ায় আনন্দের অভিজ্ঞান।