তীব্র গরম ও খাবারের অভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর পাড়ে মিল্ল বন্য হরিণ। শনিবার দুপুরে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার মেঘনা নদীর পাড় থেকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে রামগতি থানায় খবর দেন। পরে রামগতি থানা পুলিশ আলেকজান্ডার মেঘনা নদীর সেন্টার খাল থেকে হরিণটি উদ্ধার করে প্রাথমিক খাবার নিশ্চিত করেন। পরে স্থানীয় বনকর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
স্থানীয় জেলেরা জানান,বনে তীব্র গরম ও খাবার সংঙ্কটে হরিণটি লোকালয়ে আসতে শুরু করে। তারা হরিণটি নদীর পাড়ে বাসতে দেখে উদ্ধার করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। বনে খাদ্য সংকটের কারণে বন্যপ্রাণীগুলো বাঁচার তাগিদে লোকালয়ে এসে খাবার খুঁজছে। নির্বিচারে বন উজাড় ও ফলের চাষ কমে যাওয়াসহ নানা কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে ধরে নোয়াখালির নিঝুম দ্বীপ নদী হয়ে হরিণ লোকালয়ে চলে আসছে।
অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে কিছু হরিণ লোকালয়ে আসার পর কেউ ধরে আটকে খেয়ে ফেলছেন। আবার কেউ কেউ স্থানীয় বনকর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করেন।
রামগতি থানার ওসি এ টি এম আরিচুল হক জানান,স্থানীয় সংবাদে মেঘনা নদীর সেন্টার খাল থেকে হরিণটিকে অসুস্থ উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় বনকর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করে নোয়াখালীতে পাঠানো হয়।
রামগতি উপজেলা বনকর্মকর্তা আবদুল বাসেদ জানান, উদ্ধার হওয়া একটি হরিণটি রামগতি থানা থেকে বুঝে নিতে গিয়ে হরিণটির মেডিকেল রির্পোট,থানা থেকে জিটি করা হয়েছে। এরপর হরিণটি বিভাগীয় বনকর্মকর্তা নোয়াখালী নিকট হস্তান্তর করবো। বিভাগীয় বনকর্মকর্তা হরিণটি বুঝে নিয়ে সুস্থকরে স্থানীয়দের উপস্তিতে নিঝুম দিপ ছেড়ে দেওয়া হবে।