লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় ফাতেমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানা পুলিশ।গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৩৪), সতীন নার্গিস আক্তার (২৮), শ্বশুর মনসুর আলী (৫৫) ও ননদ ফরিদা আক্তারকে (২০) আটক করেছে থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী খারনৈ গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পরও তিনি একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ফাতেমাকে মেনে নিতে পারেননি জাহাঙ্গীরের প্রথম স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন। বনিবনা না হওয়ায় একপর্যায়ে তিন/চার মাস আগে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ফাতেমার সঙ্গে জাহাঙ্গীরের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ফাতেমা তার বাবার বাড়িতে চলে যান। কিন্তু কয়েকদিন পর জাহাঙ্গীর আবারও ফাতেমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর ফাতেমার ওপর নির্যাতন চালানো শুরু করেন জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার ফাতেমাকে লোহার শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। পরে খবর পেয়ে শিকলবন্দী ফাতেমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম জানান, গত শুক্রবার মধ্যে রাতে ফাতেমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি এবং ওই রাতেই তার স্বামী ও সতীনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ফাতেমা নিজেই বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে আটকৃতদের শনিবার দুপুরে নেত্রকোণা জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।