নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নিজের বাসার কাজের মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার স্বামী দুই সন্তানের জনক মোস্তফা(৩৫)।এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে গৃহকর্মী(১৮)। পরে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাত করার জন্যে নানান চেস্টা চালিয়ে যান ধর্ষক মোস্তফা। ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কথিপয় ব্যাক্তি ২লাখ টাকার জরিমানার মাধ্যমে মোস্তফাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নানান চাপ প্রয়োগ করছে ভিকটিমের পরিবারের উপর।
উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কানাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী গৃহকর্মীর বাবা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মোস্তাফা। এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে হৈ-চৈ পড়ে যায়। আরো ক্ষেপে গিয়ে নানান উক্তি করেন ঐ ধর্ষক “পত্রিকায় লিখলে কি হবে, যা পারেন লিখেন”। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ১১মে শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে প্রতিনিধিকে বলেন, গাওঁকান্দিয়া ইউনিয়নের কানাইল গ্রামের মৃতঃ ইউসুফ আলীর পুত্র দুই সন্তানের পিতা মোস্তফার বাড়ীতে ১৮ মাস আগে গৃহকর্মীর কাজ নেই। তার স্ত্রী কানাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মর্জিনা খাতুন। মোস্তফার স্ত্রী শিক্ষক হওয়ায় এবং বিদ্যালয়ে চলে যাওয়ায় ফাঁক সময়ের মধ্যে আমাকে একাপেয়ে নানাভাবে যৌন হয়রানি করতো। বিয়ে করবে বলে ফুসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ফাঁস না করার জন্যে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকীও দেন মোস্তফা। গৃহকর্মী আরো জানান, কয়েকমাস পর আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা যায়। এ বিষয়টি নিয়ে আমার অভিভাবক মোস্তফার সাথে কথা বললে ২লাখ টাকা দিবে শর্তে বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলতে চাপ সৃষ্টি করে। আমি আমার গর্ভে আসা সন্তানের স্বীকৃতি চাই। সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন ভিকটিমের পরিবার।