দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশপথ শিমুলিয়া কাঠালবাড়ী নৌ-রুটের যাত্রীসহ যানবাহন সঠিক ও সুষ্ঠভাবে পারাপারের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ঈদে ঘরমুখো ও কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীসহ যানবহনগুলো যাতে এ রুট ব্যবহার করে নিরাপদ ও নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে পারে যাত্রীদের কাছ থেকে নৌযান ও যাত্রীবাহী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদে ঘরমুখো যাত্রী দের শুষ্ট যাত্রা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে মোট ছয় দিন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএর সম্মেলন কক্ষে জেলা মেজিষ্ট্রেট ও
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে বিশেষ আইন- সৃঙ্খলা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় এ রুটে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে ঘাট ও আশপাশ এলাকায় ৫ শতাধিক পুলিশ, র্যাব, ও শতাধিক আনসার সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন দুইটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানিয়েছেন, এ নৌ-রুটে চলাচলরত ৮৭টি লঞ্চে যাত্রীপ্রতি ৩৫ টাকা ও সাড়ে চার শতাধিক স্পিডবোটে যাত্রীপ্রতি ১৮০ টাকা ভাড়া আদায় করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীদের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে ভ্রাম্যমাণ ১০টি টয়লেট, ঈদের দিনে বিশেষ জামাত এবং রো-রো ফেরিসহ ১৭টি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আসমা শাহীন, লৌহজংয়ের ইউএনও মো.কাবিরুল ইসলাম খান, ইউএনও শ্রীনগর,মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ইউএনও সিরাজদিখান, আশফিকুন নাহার,এ এসপি, শ্রীনগর সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান, ওসি লৌহজং,মনির হোসেন, ওসি শ্রীনগর মোঃ ইউনুচ আলী, ওসি সিরাজদিখান মোঃ ফরিদউদ্দিন, ট্রাফিক ইনচার্জ টি আই মোঃ হিলাল উদ্দিন, টি আই, সোহরাব হোসেন, টি আই, কাজল, মাওয়া নৌ পুলিশ ইনচার্জ মোঃ আরমান হোসেন, হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ,গোলাম মুর্সেদ তালুকদার,বিআইডব্লিউটিসির এজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী,বিআইডব্লিউটিএ সহঃ বন্দর কর্মকতা মোঃ শাহআলম মিয়া, স্পিডবোট ঘাট ইজারাদার আশরাফ হোসেন খান, মাওয়া বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবর হাওলাদার, লঞ্চ মালিক সমিতির আতাহার বেপারী, এ ছাড়াও সভায় ঘাট সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসণের বিভিন্ন দফতরের কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুলিশ সুপার বলেন,সকল শ্রমিক সংগঠনের অবৈধ চাদাঁ আদায় বন্ধ থাকবে।সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যাত্রীরা যাতে কোন প্রকার হয়রানি ও দুর্ভোগের স্বীকার না হয় সে দিকে সবাইকে নজর রাখার জন্য আহবান জানানো হয় এবং যেসব পরিবহন মালিক ,লঞ্চ মালিক ,সি-বোট মালিক ও চালকরা আইন ভাঙ্গবে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এবার ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে এখন থেকে ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়ন থাকবে।