পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ৭ বছর বয়সী নাতনীকে ধর্ষনের দায়ে নানার ঠাই হয়েছে শ্রীঘরে। অনৈতিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের পুরাতন আটোয়ারী (বন্দরপাড়া) গ্রামে। অভিযুক্ত নানা উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ (দোহসুহ) গ্রামের জনৈক মৃত: মকসেদ আলীর পুত্র মো: খালেক (৬৩)।
ভিকটিম ওই গ্রামের জনৈক দিনমজুর মো: হোসেন আলী’র (ছন্দনাম) মেয়ে (৭) এবং সম্পর্কে খালেক ভিকটিমের মায়ের আপন মামা শ^শুর। ভিকটিম ও তার পরিবার সহ মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষক গত মঙ্গলবার দুপুরে ভাগ্নের বাড়ীতে বেড়াতে আসলে মামার মেহমানদারী জোগাড়ে বেড়িয়ে পড়ে ভাগ্নে। ভাগ্নের অনুপস্থিতির সুযোগে বাড়িতে ৭ বছর বয়সী নাতনীকে একা পেয়ে লম্পট নানার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। একপর্যায় নানা ওই নাতনীকে জোড় পূর্বক ধস্তাধস্তি শুরু করলে আত্ম চিৎকার দেয়। ইতোমধ্যে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং তার মা বাড়ি ফিরে। এ অবস্থায় মেয়ের কাছে নানার কু-কর্মের কথা অকপটে বলে দেয় এই অবুঝ শিশুটি। মেয়ের কথা শুনে মা এবং প্রতিবেশী রাশেদা প্রথমে হতবাক হন। পরে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে নানাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আটক করে রাখেন।
খবর পেয়ে, আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা পুলিশকে সাথে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। মেয়েটির সাথে তিনি সরাসরি কথা বলে শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং অভিযুক্তকে থানায় সোপর্দ করেন। এদিকে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় খালেকের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। আটোয়ারী থানার মামলা নং-৩, তারিখ: ১৪/০৫/২০১৯ খ্রি:।
এ ব্যাপারে আটোয়ারী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ,মো: আবদুর রাজ্জাক ধর্ষন মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আটককৃত খালেককে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।