চট্টগ্রামে হাজীপাড়া এলাকায় রিকশাচালক মো. রাজু হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ। এক মাদক ব্যবসায়ীর কারাগারে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি। আর ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে একটি নেশাগ্রস্ত কিশোর গ্যাং। বৃহস্পতিবার শহরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। এসময় জানানো হয়,
গত ১৪মে ভোরে হাজীপাড়া এলাকায় ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় রিকশাচালক মো. রাজুকে। পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আটজন হচ্ছেন- মো. রাকিব হোসেন, মো. নুর নবী, শিমুল দাশ, তানভির হোসেন, মো. সুজন, মেহেদী হাসান রুবেল, ওসমান হায়দার কিরন ও সেলিনা আক্তার সেলি। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গত ২৭ এপ্রিল ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান ইয়াবা ব্যবসায়ী ছগির হোসেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পেছনে তার বন্ধু মফিজকে সন্দেহ করেন। পরে কারাগারে বসেই মফিজকে খুনের পরিকল্পনা করেন ছগির। এরপর কারাগারে দেখা করতে যান ছগিরের স্ত্রী। তখন মফিজকে হত্যার নির্দেশ দেন ছগির হোসেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩মে খুনের খরচ বাবদ ছগিরের স্ত্রী সেলিনা আক্তার সেলী শুক্কুর নামে একজনকে ১হাজার টাকা ও ছগিরের ছেলে ওসমান হায়দার কিরন একটি ধারালো লম্বা কিরিচ দেন। পরে ১৪ মে সবাই হাড্ডি কোম্পানীর মোড়ে খুনের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে ভাটাটিয়া সন্ত্রাসীরা। কিন্তু ভুলক্রমে ভাড়া ঘরে মফিজের রুম মনে করে সন্ত্রাসীরা পাশের রুমে রিকশাচালক রাজুর ঘরে প্রবেশ করে।
এরপর তারা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে আশপাশের লোকজনের চিৎকারে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়। ওই সময় টার্গেট হওয়া মফিজও তার রুমে ছিলেন। ছগির হোসেন একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ছগিরের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান, ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. জহির হোসেন প্রমুখ।