গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তারেক (২৫) হ্যান্ডকাপসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে খিরাটি মানিক বাজার থেকে আসামী আটক করার পর পুলিশ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ ফয়সাল মাহমুদ নামে একজনকে আটক করেছে। এব্যাপারে থানার এএসআই মোঃ কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশের অভিযোগে জানা যায়, কাপাসিয়া থানার এএসআই মোঃ কফিল উদ্দিন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী খিরাটি গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র মোঃ তারেক (২৫)কে ধরতে উপজেলার ওই এলাকায় যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি আশরাফিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা মসজিদে অবস্থান নেয়। টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী তারেক পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ পিছু যাওয়া করে তারেককে ৮পিস ইয়াবাসহ আটক করে হ্যান্ডকাপ পড়ায় এবং পুলিশের ব্যবহৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় উঠায়। খবর পেয়ে তারেকের ভাই মাসুমের নেতৃত্বে পুলিশের উপর আক্রমন করে এবং ধস্তাধস্তি করে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ী তারেক এএসআই কফিল উদ্দিনের বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলিতে কামড় দিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করে পালিয়ে যায়।
থানা পুলিশ আসামী তারেককে ধরতে তাদের পিছু ধাওয়া করলে আসামী ফয়সাল মাহমুদ (২৫), মিল্টন (৩০), দুলাল মিয়া (৫৫), ফারুক (৫২), জুয়েল (৩০), মনির হোসেন (৪০)সহ আরো ৪/৫ জন পুলিশের উপর অতর্কিতে আক্রমন করে এলোপাথারী মারপিট করে এবং তাদের ব্যবহৃত সিএনজি চালিত (গাজীপুর-থ-১১-৮৩৩২) অটোরিক্সাটি ভাংচুর করে।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার খিরাটি এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তারেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মাদকসহ ৪ টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত সে পলাতক থেকে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, কাপাসিয়া থানার এএসআই মোঃ কফিল উদ্দিন ইতপূর্বেও উপজেলার চাঁদপুর বাজারের জনৈক এক ব্যবসায়ীর পকেটে ইয়াবাবড়ি ঢুকিয়ে আসামী আটকের চেষ্টাকালে গণপিটুনির শিকার হয়েছিল।