কমিটি অনুমোদনের তিন দিন পরেই জামালপুরের বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটির সভাপতির প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিবসহ অন্যান্য সদস্যরা। রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে অনাস্থার কথা জানান কলেজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম। ফলে আবারো ম্যানেজিং কমিটি জটিলতায় পড়লো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত ম্যানেজিং কমিটি শূন্য ছিলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। এমতবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে একটি কমিটি জমা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটি অনুমোদন না হওয়ায় দাখিলকৃত ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলো শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত ১৩ মে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাখিলকৃত কমিটি অনুমোদন না দিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকারকে সভাপতি,মো.সুজা মিয়াকে অভিভাবক সদস্য, মো.মনিরুজ্জামানকে শিক্ষক প্রতিনিধি ও অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। কমিটি গঠনের তিন দিন পরেই ১৬ মে এক জরুরী সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে সভাপতির প্রতি অনাস্থা দেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম,অভিভাবক সদস্য মো.সুজা মিয়া ও শিক্ষক প্রতিনিধি মো.মনিরুজ্জামান।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন,কমিটি গঠনের পর মুঠোফোনে সভাপতি তাকে সকল শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়াসহ জালিয়াতির অভিযোগে বহিস্কৃত শিক্ষকদেরও বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা বর্হিভূত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতির প্রতি অনাস্থা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কমিটির সভাপতির সাথে আমার মামলা চলমান আছে। তাই যে কমিটি বোর্ডে জমা দেয়া আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সেই কমিটি অনুমোদনের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে একটি কমিটি জমা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটি অনুমোদনে কালক্ষেপন করায় হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যক্ষ। চলতি বছরের ১৩ মার্চ কমিটি অনুমোদনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কমিটি অনুমোদন হয়নি। ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেনা এমপিও ভূক্ত ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।