খুলনার কপিলমুনির হলুদ গুনগত মান ও স্বাদ দেশসেরা। এ কারণে এ অঞ্চলের উৎপাদিত হলুদ দেশের অন্যান্য জেলাসহ বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বৈশাখ-আষাঢ় মাস হলুদের বীজ রোপনের সময়ে তীব্র তাপদহনে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাইকগাছা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হচ্ছে। উপজেলার ১০টির মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়–লী ইউনিয়নে মাটি হলুদ চাষে উপযুক্ত। এ ৪টি ইউনিয়নের জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু ও হালকা ছায়াযুক্ত। সাধারণত উচুঁ ও হালকা ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের উৎপাদন ভাল হয়। বাংলা বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ বপন করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপন করা যায়। উপজেলায় কপিলমুনি, হরিঢালী, গদাইপুর ও রাড়–লী ইউনিয়নে অধিকাংশ গ্রামের হলুদের আবাদ হয়। হলুদের বীজ রোপনের জন্য জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হয়। এরপর মই দিয়ে মাটি সমান করে দুই পাশের মাটি উঁচু করা হয়। এই উঁচু মাটির মধ্যে হলুদের বীজ রোপন করা হয়। বৃষ্টির পানিতে বীজ নষ্ট হতে না পারে তার জন্য ছোট করে নালা রাখা হয়।
উপজেলার হিতামপুর গ্রামের হলুদ চাষী দুলু সরদার জানান, তিনি প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপন করেছেন। হলুদ চাষের জন্য এ বছরে আবহাওয়া ভাল রয়েছে। তবে অতিবৃষ্টি না হলে হলুদের উৎপাদন ভাল হবে তিনি আরো জানান।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, হলুদ একটি লাভ জনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে অন্যান্য বীজ রোপন করা যায়। চাষীদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদের আবাদ ভাল হবে বলে।