মুন্সিগঞ্জে পদ্মানদীতে দিন-রাত জাল ফেলেও জেলেদের জালে মিলছে না রূপালি ইলিশ। ভরা এমৌসুমেও নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে হতাশ এই উপকূলের কয়েক হাজার জেলে। মাছ ঘাটগুলোতে ইলিশের আমদানি না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন আড়ৎদাররা। তবে আরও কিছু দিন পরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন জেলা মৎস্য বিভাগ।
তবে যে ক'টি পাওয়া যাচ্ছে তাও বাজারে দাম রয়েছেন দিগুন চড়া। মাওয়ার লৌহজং শরিয়তপুর, শুশ্বের, মেঘনা নদীর এলাকায় জুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রম। এ জেলায় প্রায় ৪৭ হাজার জেলে প্রতিদিন নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্ভর করে। জীবিকার তাগিদে জেলের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়লেও কমছে আহরিত ইলিশের পরিমাণ। মে, জুন, জুলাই, আগষ্ট থেকে অক্টবর পদ্মা মেঘনায় নদীতে মাছ শিকারের ভরা মৌসুম এ দুই চার মাস। কিন্তু নদীতে মাছ না থাকায় মাছ শিকারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন লৌহজং সহ এ অঞ্চলের জেলেরা।
বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ভরা মৌসুমে অনেক আশা নিয়ে মাছ শিকারে নামলেও জেলেদের জালে আশানুরুপ ধরা পড়ছে না রুপালী ইলিশ। খরচের তুলনায় মাছ না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় জেলেরা। আগে এই মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও চলতি বছর কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে বেশির ভাগ জেলে খালি হাতে ফিরছেন নদী থেকে। ভরা মৌসুমে ইলিশের এমন দুর্দিনে অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। নদীতে মাছ না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে জেলে পরিবারগুলো। এদিকে জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারায় অনেকটাই অলস সময় কাটছে আড়ৎদারদের। অনেকটাই শূন্য মাছের আড়তগুলো।
সংশ্লিষ্ট জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, প্রজনন মৌসুমে সমুদ্র থেকে ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে আসে। তখন উপকুলে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। ডিম ছেড়ে সমুদ্রে চলে যাওয়া কারণে বর্তমান সময়ে জেলেরা ইলিশ পাচ্ছে না। তবে চিন্তার কোন কারন নেই, ইলিশ ভ্রমনশীল ও মাইগ্রেট মাছ, নিরিবিচ্ছন্ন পানির প্রবাহ থাকলে ও বৃষ্টিপাত হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মাছ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন জেলার মৎস বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে মাওয়া মৎস্য আড়তের পরিচালক মোঃ চানঁ মিয়া জানান , আজ সকালে চাঁদপুর সংলগ্ন নদীর পদ্মার নামা থেকে দেড় কেজির সমান বা বেশী ওজনের একটি ইলিশ তাদের আড়তে আসে।পরে মাছটি ২হাজার টাকায় রাজধানীর এক পাইকার.কিনে নিয়ে যান। এছাড়া গতকাল সোয়া কেজি ওজনের দুটি মাছ দের হাজার টাকায় করে বিক্রি করা হয়েছে । ও ১ কেজির কম পরিমাপের বিভিন্ন সাইজের এক হালি ইলিশ প্রকারভেদে ৩ থেকে /৫হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আঃ মজিদ মৎস্য আড়তের মালিক মোঃ মজিদ শেখ জানায়,গত কয়েকদিন থেকে এখানে পদ্মার বড় সাইজের মাছ খুবই সঙ্কট রয়েছে৭/৮কেজি ওজনের পাওয়া যাচ্ছে এভেলেভেল তারচেয়ে বড় পাওয়া যাচ্ছে না।মাত্র দু’দিন আগেও এখানে বোয়াল মাছের পাইকাররা বলেন ৮কেজির সামান্য কম ওজনের ১টি বোয়াল ১৭ হাজার টাকায় দিয়ে বিক্রি করা হলেও গত সপ্তাহ থেকে এসব ওজনের এক টি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০/২২হাজার। টাকা কারন নদীতে ইলিশ নেই এই জন্যই অন্য মাছের দাম বেশি।
তিনি আরো জানান, শনিবার ভোরে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর এলাকার নামার পদ্মা থেকে জেলেরা বড় ভিন্ন ভিন্ন সাইজের কয়েকটি ’টি চিতল মাছ তার আড়তে আনে। এ সময় মাছ গুলোতিনি ডাকে বিক্রি করেন ১৫/১৬হাজার টাকায়। মাওয়া মৎস্য আড়তের
সংশ্লিষ্টরা কর্তৃপক্ষরা বলেন ,আজ ঢাকার এক পাইকার ২৫ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ ৩৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যান। অতচ তারা মাওয়ার এ আড়তের আসেন এক মাত্র ইলিশ কিনার আসায় ।