সুনামগঞ্জে হঠাৎ করে ডায়গনষ্টিক সেন্টার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ঝাকে ঝাকে ডাক্তার আসছেন ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোতে। ডাক্তারদের আগমনের মাইকিংএ কান ঝালাপালা পৌরবাসীর। শুক্রবারে মানুষের হাঠ বসে ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোতে। হিউম্যানল্যাভ নামে একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন এমবিবিএস, এফসিএস (মেডিসিন), মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অতনু ভট্টাচার্য। সুনামগঞ্জে তাঁর হাক ডাক বেশী। সেই সুযোগ নিচ্ছে ডায়গনষ্টিক সেন্টার। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় হিউম্যান ফার্মেসীতে রোগী ও ডাক্তারের মনোনীত টিকেট বিক্রয়কারী সুভক্তরা রাজা ট্রেডসেন্টার ও জোহায়ের রাজা ট্রেড সেন্টারের নৌশপ্রহরী সাজিদের মাঝে টিকেট নিয়ে রোগীদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়, এরপর হিউম্যান ফার্মেসীর স্টাফরা সাজিদের পক্ষ নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে নিয়ম ভেঙ্গে টিকেট বিক্রী করে ফার্মেসীর লোক জন।
হিউম্যান ফর্মেসির একটি বোর্ডে লিখা আছে, ডা. অতনু ভট্টাচার্য্যরে টিকেট সকাল নয়টা ফার্মেসী থেকে দেওয়া হবে, প্রতিদিেিনর টিকেট সকাল নয়টায় সরাসরি উপস্থিত থেকে নিতে হবে। ফোনে কোন টিকেট দেওয়া হয়না। কিন্তু নৌশ প্রহরী সাজিদ বলছেন প্রতিদিন সেহরীর পর থেকে টিকেট দেওয়া হয়। ১৯ টি টিকেল দেওয়ার পর আর টিকেট দেওয়া হয় না। সোমবারে যারা নয়টায় এসে টিকেট পাননি তারা আজ ফজরের পরপরই এসে নাম লিখান।
সাজিদের কথা মোতাবেক রোগী ও তার স্বজনরা সেহরীর পর টিকেটের সিরিয়াল দেন। সকাল নয়টায় ফার্মেসী খোলার পর কয়েকজন রোগীর স্বজন প্রশ্ন তুলেন নয়টায় লিখা আছে নয়টায় যারা আসছে তাদের টিকেট আগে দিতে হবে। সেহরীর সময় যারা এসে নাম লিখেছে তাদের টিকেট সবার পরে থাকলে দিতে হবে। এসয় সাজিদ বলেন, আমিও শহরের পোয়া দেখি কে কিতা করে, বালের টিকেট বিক্রী বন্ধ থাকবে। এ কথা বলার সাথে সাথে রুগীরা প্রতিবাদ করেন। হট্টগুল শুরু হয়। ফামেসীর লোকজন সাজিদের পক্ষ নেন। বিশ মিনিট হট্টগুল শেষে ফার্মেসীতে আগে এবং পরে যারা এসেছে তাদের সবাইকে টিকেট দেওয়া শুরু হয়। এ সময় ফার্মেসী কর্তৃপক্ষ জানান স্যার আগেই ছয়টি টিকেট বিক্রী করে ফেলছেন। এনিয়ে আবার হট্টগুল সৃষ্টি হয় এবং টানানো কাগজটি ছিড়ে ফেলতে রুগিরা দাবি তুলেন।
২৫টি টিকেট বিক্রী করলেও ফার্সেমীর স্টাপরা ৭-৮ টি টিকেট নিয়েছেন। এভাবে প্রতি দিনই সরকারী হাসপাতাল এবং বে-সরকারী প্রতিষ্টানে এতে প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সু-দৃষ্টি কামনা করেছের ভূক্তভোগিরা।