মোল্লাহাটে ৬ মাসের অন্তসত্বা এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে দুর্দান্ত আসামি পক্ষের অব্যাহত হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী পক্ষ। ওই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা ও লোক-লজ্জায় শশুর বাড়ী ছেড়ে পিতার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন ভিকটিম। এ ছাড়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হমকীদাতাদের বিরুদ্ধে মোল্লাহাট থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন গৃহবধূর শাশুড়ী।
ধর্ষণ মামলার বিবরণ ও হুমকীর ঘটনায় জিডিতে প্রকাশ-উপজেলার চরউদয়পুর গ্রামের ওই গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মৃত রেজাল বিশ্বাসের ছেলে হাসমত বিশ্বাস (৫০) বিভিন্ন প্রকার উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ঘটনার রাতে গত ২১/০৪/১৯ ইং বাড়ীতে অন্যকেউ না থাকার সুযোগে ওই হাসমত ঘরে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে অন্তসত্বা গৃহবধূকে। এ সময় গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে অন্যান্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে ভীতসন্ত্রস্থ ও অসুস্থ ওই গৃহবধূকে পাশের বাড়ীর লোকেরা তাদের বাড়ীতে নিয়ে রাখে। পরে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ী বাড়ী ফিরে আসলে এঘটনার প্রতিকারের আসায় থানায় যায় মামলা করতে। থানা কয়েকদিন গড়িমসি করে মামলা না নেয়ায় বাগেরহাট আদালতে গিয়ে বিচার চান ভিকটিম ও তার পরিবার। বাগেরহাট আদালতের আদেশে মোল্লাহাট থানা মামলা রেকর্ড করে, যার নং-০৩, তাং-১২/০৫/১৯ ইং। এ মামলায় এখন পর্যন্ত হাসমতকে আটক করতে পারে নাই পুলিশ। এ ছাড়া আসামি হাসমতের আপন ভাই দ্বীন ইসলাম বিশ্বাস (৪০) ও জাহিদ বিশ্বাস (৩০) ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য ভিকটিম পরিবারের সকলকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ জীবন নাশের হুমকী দিচ্ছে। যে কারণে ভিকটিমের শাশুড়ী মোল্লাহাট থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন, যার নং-৯৪২, তাং-২১/০৫/১৯ ইং।
ওই মামলার তদন্তকর্তা এস,আই, মোঃ লুৎফর রহমান মঠো ফোনে জানান-নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি সঠিক না, ভিকটিম মামলা করে তার বাবার বাড়ী গিয়ে বসে আছে, এ ছাড়া আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।