কুমিল্লার হোমনায় ঈদের কেনাকাটা করতে এসে ঠগবাজের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন হাওয়া বিবি নামে এক নারী। লবণের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়েই নগগ টাকাপয়সা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে তিন ঠগবাজ যুবক। গতকাল শনিবার সকাল এগারোটার দিকে উপজেলা সদর গার্লস স্কুল মার্কেটের গেইটে ঘটে এ ঘটনা। সে উপজেলার নিলখী গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের স্ত্রী। গত কয়েক দিনে এমন আরও ঘটনা ঘটেছে। ঈদকে সামেন রেখে হোমনায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছে ঠগবাজ, পকেটমার এবং প্রতারক চক্র। গত বুধবার এ নারীর হাতব্যাগ কেটে নিয়ে গেছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা ও জরুরী দলিলপত্র, গত বৃহস্পতিবার সদরের একটি বড় মার্কেটের বিপনি বিতান থেকে বোরকা পরিহিত দুই নারী প্রতারণার সাহায্যে পোশাক নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
সর্বস্ব খোয়ানো হাওয়া বেগম জানান, ওই দিন ঈদের কেনাকাটা করার জন্য উপজেলা সদরে এসে কফিল উদ্দিন গার্লস স্কুলের গেইটের সামনে এসে দাঁড়ান। এ সময় অল্প বয়সী তিনজন ছেলে তাকে স্কুলের গেইটের ভেতর ডেকে নেন। এরপর একটি ছেলে তার হাতে একটি লবণের প্যাকেট ধরিয়ে দেন। প্যাকেট হাতে নেওয়ার পরপর তিনি নিজে থেকেই তার ব্যাগ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা, কানের দুল, গলায় স্বর্ণের চেইন, স্বর্ণের আংটি ও স্মার্ট মোবাইল ফোন সেটটি তাদের দিয়ে দেন। ছেলেগুলো সবকিছু নিয়ে চলে যাওয়ার পর তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে লোকজন জড়ো হয়। উপস্থিত লোকজনদের বিষয়টি জানালে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাজুজি করেও ঠগবাজদের খোঁজে পাওয়া যায়নি। সম্বিত ফিরে পেয়ে হাওয়া বেগম আরও বলেন, ‘লবনের প্যাকেট হাতে নেওয়ার পর কেন আমি তাদেরকে নিজে থেকেই টাকা পঁয়সা ও স্বর্ণালংকার খুলে দিলাম, এখনো বুঝতে পারতেছি না।’
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক বলেন, এ ধরণের কোনো সংবাদ পাই নাই। এমন ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করে নাই।