বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত রসালো পান।রসেও মিষ্টিঝালে পান পিপাসু মানুষেরকাছে এ পানের কদরও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশে পানের ব্যাপক চাহিদার কথা বিবেচনা করে এলাকার চাষিদের বিষমুক্ত পান উৎপাদনের নিয়মাবলী শেখাচ্ছে উপজেলা কৃষি অধিদপÍর।
চিতলমারীর চরলাটিমা গ্রামের পান চাষি সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, বিকল্প ফসলের অংশ হিসেবে বাড়ির পেছনে ৩৮ শতক জমিতে সাথি জাতের বিষমুক্ত পান চাষ করি। প্রায় এক লাখ টাকার মত খরচ হয়। বিগত ছয় মাসে প্রায় তিন লাখ টাকার পান বিক্রি করেছি। সামনে আরো পান বিক্রি হবে।
একই গ্রামের বিষমুক্ত পান চাষি বিকাশ মন্ডল জানান, এলাকার মানুষ এখন পান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এক একর জমিতে প্রথম বছর পান চাষে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু পান তোলা যায় ৭ বছর ধরে। এতে খরচের টাকা ঘরে এসেও লাভের অংশ কয়েকগুন বেশী থাকে।সে কারণে এটি একটি লাভজনক চাষ।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, বিদেশে বিষমুক্ত পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত পান কাতার, সৌদি ,ওমান ও আরবসহ ১০-১৫টি দেশে রপ্তানি হয়। বিষমুক্ত পান চাষে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।উপজেলার শিবপুর, বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন
বলেও তিনি জানান। এ অঞ্চলের মাটি পান চাষের জন্য যথেস্ট উপযোগী। এখানে মোট পান বরজের সংখ্যা রয়েছে ৪৫০টি তারমধ্যে ৩২০ জন চাষি নিয়মিত পানের চাষ করছেন।এ উপজেলায় প্রায় ৭৫ একর জমিতে সাথিসহ নানাজাতের পান চাষ হচ্ছে। একই সাথে পান বরজের সংখ্যা বাড়ছে।