দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চেলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এ নৌ-রুট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়। তবে ঈদের সময় এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর এ সময় যানজটসহ বিভিন্ন দুর্ভোগে পড়তে হয় এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী, চালকদের। তাই আসন্ন ঈদে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে অতিরিক্ত লঞ্চ, ফেরি ও সবগুলো ঘাট চালু সহ নিরাপত্তা জোরদারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাভাবিক সময়ে ১২-১৪ টি ফেরি চলাচল করলেও ঈদকে ঘিরে যাহবাহনের বাড়তি চাপ সামলাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০ টি ফেরি চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ১৭টি ফেরী চালু রয়েছে। ঈদের আগেই আরও ৩টি ফেরী যুক্ত হবে। এরইমধ্যে ৬ টি ঘাট মেরামত করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়া যাত্রী পারাপারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৪ টি লঞ্চ। যাত্রাপথে কোনো ফেরি বিকল হলে তাৎক্ষনিক তা মেরামতের জন্য রয়েছে ভাসমান মেরামত কারখানা। আর ঈদের আগের ও পরের তিনদিন জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য সব ধরণের ট্রাক ও লড়ি ফেরি দিয়ে পারাপার বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে, লঞ্চ ও বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও ভাড়া আদায় ঠেকাতে উভয় ঘাটেই দায়িত্ব পালন করবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৪ ঘন্টা নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা। বসানো হবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। সড়কপথ ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তায় নদীপথে টহল দিবেন নৌ পুলিশের সদস্যরা।
যাত্রী ও চালকেরা বলেন, এবার ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটে ভোগান্তি কম হবে বলে মনে করেন। কারণ হিসেবে বলেন এবার যথেষ্ট পরিমান ফেরি এ রুটে চলাচল করবে এবয় ৬টি ফেরি ঘাটের সব কটি চালু রয়েছে। তবেকোন ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে ঈদে ঘরমুখি মানুষ ভালো ভাবে চলা চল করতে পারবে।তবেফেরি গুলেঅ ঠিকমত চরঅচল করলে ঈদ যাত্রায় কোন ধরনের যানজট থাকবেনা।
র্যাকার ড্রইভার বলেন ,যদি কোন গাড়ি বিকল হয়ে যায় তাৎক্ষনিক ব্যকস্থা গ্রহনেরে জন্য র্যাকার ভ্রামান ভাবে দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করছে।
বিআইডাব্লিউটিসি, দৌলতদিয়া সহকারী ঘাট ব্যবস্থাপক আবু অব্দুল্লাহ বলেন,বর্তমানে দৌলতদিয়ায়-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ১৭টিফেরি চলাচল করছে। তবে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি চাপ পরার কারণে আরো দুটি মিলে মোট ১৯ ফেরি এ রুটে চলাচল করবে ফেরি ঘাট রয়েছে ৬টি। সবগুলো ঘাটগুলো সচল রয়েছে। বড় ধরনরে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সবগুলো ঘাটই চালু থাকবে। ছোট খাটোকোন ত্রুটি হলে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় মেরামতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পরিবর্তন ডট কম কে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, আমাদের জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানজট নিরসন ও জন সাধারন পারাপারে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে সব ধরনের মিটিং সম্পন্ন করা হয়ে। তবে বিআইডব্লিউটিসি যদি পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা রাখে এবং কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ থাকবে সাধারণ মানুষের।
রাজবাড়ী ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, মোঃ আলমগীর হুছাইন বলেন, প্রত্যেক ঈদেই দৌলতদিয়া ঘাটে বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার সাধারন মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে পর্যাপ্ত লঞ্চ ও ফেরির ব্যবস্থা রেখেছেন যাতে অনাকাঙ্খিত যানজট না হয়। ঘাটে ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা নির্ধারন করেছেন নিরসনের ব্যস্থা করেছেন। তবে রাস্তাগুলোর যেহেতু কাজ চলমান রয়েছে তাই ঈদের সময় যাতে পারাপারে আপাতত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় তার জন্যেসেড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে বড় ধরনেরকোন সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি। দৌলতদিয়া ঘাটে যেন যানজট না হয় সে বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছেন এবং রাস্তা ঘাটে যেন কোন সমস্যা না হয় সে ক্ষেত্রে সার্বক্ষনিক মনিটরিং থাকবে বলে জানান তিনি।