নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম ব্যবহার করে জেলার দুদক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কে বা কারা ডিজিএফআই মহা-পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
অভিযোগে নোয়াখালী জেলা দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্ণীতি, অসামাজিক কার্যকলাপ, নারী ও মাদক, হুমকী ধুমকী, নিরীহ সরকারী কর্মচারী, ডাক্তার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের হয়রানী করার বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে গত ১৬ মে তারিখে ডিজিএফআই এর জনৈক কর্মকর্তা বসুরহাট পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে তদন্তে আসেন। এ সময় ওই কর্মকর্তা মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে বলেন, দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষ, দূর্ণীতি, অসামাজিক কার্যকলাপ, হুমকী-ধুমকী ও নিরিহ সরকারী কর্মচারী ডাক্তার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে হয়রানী করার বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যে অভিযোগ করেছেন তা তদন্ত করতে এসেছি। এ সময় সেতু মন্ত্রীর ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে বলেন, আমি এ ধরনের কোন অভিযোগ ও আবেদন কোথাও করিনি এবং এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অতঃপর ওই দিনই তিনি তার অফিসিয়াল প্যাডে স্মারক নং-বঃপৌঃ/২০১৯/৭৮, তারিখ-১৬/০৫/২০১৯ইং মূলে একটি প্রতিবেদন লিখিত ভাবে ওই কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।
একই বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বুধবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় জিডি করেন (জিডি নং-১১৫৮/১৯, তারিখ-২৯/০৫/২০১৯)। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, কোন একটি কুচক্রিমহল তার সুনাম ক্ষুন্ন ও তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা জানান, একটি কুচক্রিমহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছি।