ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং যাত্রী হয়রানির অভিযোগে র্যাব সদস্যরা চাঁদাবাজ চক্রের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে। গতকাল সোমবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর, মদনপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় মহাসড়কে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়। এ সময় র্যাব তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির এক লক্ষ ছয় হাজার টাকা জব্দ উদ্ধার করে। পরে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায়।
আটককৃতরা হলেন মোশারফ, শামীম, রাব্বী ওরফে বাবর, খোরশেদ আলম ইমন, কাজী এরশাদুজ্জামান, আবদুল কাদের সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর হোসেন, আবদুস সালাম, জিয়াউর রহমান, মাহফুজুর রহমান, মহসিন মিয়া, মনসুর আলী, আরশাদ মোল্লা, জহুর আকন্দ, ওমর ফারুক, হুমায়ুন কবীর, হাসান কাউছার এবং মনিরুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলেপ উদ্দিন জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অজ্ঞাণ পার্টি ও মলম পার্টি সহ সব ধরণের অপরাধ দমনে রমজান মাসের শুরু থেকেই র্যাব তৎপর রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের গোয়েন্দা দল ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস, ট্রাক, ট্যাংক লরি ও কাভার্ড ভ্যান সহ বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজ চক্রের তথ্য সংগ্রহ করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের ১৯ জন সদস্যকে চাঁদা অদায়ের সময় হাতেনাতে আটক করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব আরও জানায়, আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের নেপথ্যে যারা নিয়ন্ত্রন করছে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। এই চক্রের নেপথ্যের গডফাদাররা যতোই প্রভাবশালী হোক তাদের কাউকেই র্যাব ছাড় দেবে না। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে র্যাব জানিয়েছে। আলেপ উদ্দিন আরো বলেন, চাদঁবাজদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যহত থাকবে।