জৈষ্ঠ মাস মানেই মধুমাস। এই মাসে বিভিন্ন রসালো ফল দেখা গেলেও প্রধান অর্থকরী ফল হিসেবে লিচু বেশ সুপরিচিত। কাঠফাটা রোদে বেড়েছে এই রসালো ফলের চাহিদা। গত কয়েক বছরের তুলনায় নওগাঁর ধামইরহাটে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। শস্য ভা-ার খ্যাত ধামইরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট বাজার গুলোতে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু, উপজেলার পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ডের আশ পাশের বাজারে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি রসালো ফল লিচু। কোথাও কোথাও আবার আকার ভেদে চড়া দামেও লিচু বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের পর পরই মাঝারি ও বড আকারের ভালো জাতের লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। ব্যাবসায়ীরা জানান, লিচু বাজারে আসার পর ২/৩ দিনে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশী লিচু ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, চায়না থ্রী আকার ভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে লিচু চাষাবাদ করে তারা এখন লাখপতি
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, অন্যান্য আবাাদী ফসলের পাশাপাশি রাস্তার ধারে-পাশে গড়ে উঠেছে নিত্যনতুন লিচু বাগান। ধানসহ মৌসুমি ফসলের ন্যায্য মুল্য না থাকায় লিচুর প্রতি আগ্রহ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েকজন বাগান মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বর্ষণ কম হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজার দাম চাহিদা অনুযায়ী কম হলেও তারা লাহবান হবে বলে আশা রাখেন। ভালো জাতের লিচুর চাষ হওয়ায় নওগাঁ, মহাদেবপুর, রাজশাহী, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাবসায়ীরা এখানে এসে পাইকারি দামে লিচু ক্রয় করে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহরে বিক্রয় করে বাড়তি মুনাফা অর্জন করছে।
অন্যদিকে উপজেলার বকুল সরকার লিচু কিনতে এসে বলেন, এখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং এর কোন ব্যবস্থা না থাকায় কিছু ব্যাসায়ীরা লিচু সহ সকল ফলে বিষাক্ত ফরমালিন মিশিয়ে যে যার মতো করে চড়া দামে বিক্রি করছে এতে মানুষ যেমন নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে ঠিক তেমনি পরিবেশের ওপর ও তার প্রভাব পরছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা জানান, উপজেলার মোট ৭০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে লিচু আবাদ করা হয়েছে। গত মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারণে আগাম কুশি বের হয়ে ফলনের ক্ষতি হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী স্যার, কীটনাশক, সেঁচ প্রয়োগ করায় বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে এখন স্বস্থির হাঁসি।