গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের চকমাকড়া গ্রামের মৃত্যুতমির উদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়ার স্ত্রী কমলা বেগম (৩৮) সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত বগুড়া অথবা রংপুরে নেয়ার পরামর্শ দিলে গাড়ীতে তোলার পর তার মৃত্যৃ হয়।
কমলা বেগমের বাবার বাড়ীর লোকজন জানিয়েছেন, কমেলা বেগমের প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর দুদু মিয়র সহিত বিয়ে হয়। বিবাহের পর থেকেই নানা অজুহাতে দুদু মিয়া তার স্ত্রী কমলা বেগমের উপর নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কমলা বেগম তাঁর বাবার বাড়ী পাশর্^বর্তী পলাশবাড়ী গ্রামে চলে আসে। গত দুই আগে সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে তাকে বাবার বাড়ী থেকে নিয়ে যায় স্বামী দুদু মিয়া। নিহত কমেলা বেগমের পুত্র কপিরুল ইসলাম রানা সকালে তার মাকে মারপিট করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক মুখে বিষ ঢেলে দেয়। একপর্যায়ে মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তরিঘরি করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা কমলা বেগমের অবস্থা গুরুতর বলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া অথবা রংপুরে নেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় তাকে অন্যত্র নেয়ার জন্য গাড়ীতে তোলা হলে মৃত্যু হয় কমলা বেগমের।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাযাবে এবং ময়নাতদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।