শেরপুরের ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাসে আনুশকা আয়াত বন্ধন (১৫) নামে নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার অভিযোগ তুলে শ্রীবরদীতে মানববন্ধন ও স্বারক লিপি দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও অংশগ্রহণকারীরা বন্ধন হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হামিদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ ছালেহ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জেনারেল প্রমূখ।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে জেলা হাসপাতাল থেকে পুলিশ আনুশকা আয়াত বন্ধনের লাশ উদ্ধার করে। ওমান প্রবাসী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব ছনকান্দা গ্রামের আনোয়ার জাহিদ বাবুল মৃধার মেয়ে সে। শেরপুর জেলা শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাসে থেকে সে ওই স্কুলে পড়াশোনা করতো। শনিবার সকালে বন্ধনকে নিজ কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে এক ছাত্রী চিৎকার দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবারের লোকজন দাবি, বন্ধনকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের পরিচালক আবু ত্বাহা সাদি তার স্ত্রী নাজনীন মোস্তারি নূপুর ও বড়ভাই শিবলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।