রাজশাহীর বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের এ্যাম্বুলেন্স চালক শফিকুল ইসলাম বাইরে ভাড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের রোগীরা পড়েন বেকায়দায়। এ নিয়ে এক যুবলীগ নেতা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে গতকাল সোমবার বেলা ৪টার দিকে এ্যাম্বুলেন্স রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।
জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাওপাড়া গ্রামের মকসেদ আলীর স্ত্রী রয়াজান বেগম হার্ডস্টোকে আক্রান্ত হয়। এ সময় তার আতœীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করেন। তার অবস্থা বেগতিক দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক আবদুল্লাহেল কাফি তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের এ্যাম্বুলেন্স চালক শফিকুল ইসলামকে খোঁজ করা হয়। এ সময় তিনি অন্য এক রোগী নিয়ে অন্যাত্রে চলে গেছে বলে জানা যায়। এ সময় রোগীর আতœীয়রা বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহিন আলমকে বিষয়টি অবগত করন। তিনিও চালককে না পেয়ে অবশেষে এ্যাম্বুলেন্সের রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক আবদুল্লাহেল কাফি বলেন, এ্যাম্বুলেন্সের চালক আমাকে কিছু জানায়নি। তবে আরএমও স্যারকে জানিয়ে বাইরে একটি রুগী নিয়ে অন্যাত্রে চলে গিয়েছিল চালক। আমি দায়িত্বরত অবস্থায় যুবলীগের লীগের সভাপতি তালা লাগিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু তালা লাগায়নি।
বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহিন আলম বলেন, দীর্গদিন থেকে এ্যাম্বুলেন্সের চালক শফিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের রোগীদের বহন না করে বাইরে ভাড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ সময় এক স্থানীয় ইমারজেন্সি রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে নেয়ার জন্য চালকের খোঁজ করে না পেয়ে এ্যাম্বুলেন্সের রুমে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আরএমওসহ বিভিন্নস্থানে মোবাইল ফোনে অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাকে তালা খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তালা খুলে দিব না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আরএমও আক্তারুজ্জামান বলেন, তালা লাগানো হলে আমি জানতাম। এখন পর্যন্ত আমাকে এ বিষয়ে কেউ কোন কিছু জানায় নি। তবে এ্যাম্বুলেন্স চালক ২টা ১৭ মিনিটে আমাকে একটি মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে বাইরে রোগী নিয়ে গেছেন। তবে এ্যাম্বুলেন্স চালক শফিকুল ইসলাম বাইরে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার কথা শিকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের কর্তৃপক্ষ আমাকে অবগত করলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব।
এ বিষয়ে রাজশাহী ডেপুটি সিভিল সার্জন ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন পর্যন্ত বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের এ্যাম্বুলেন্স রুমে তালা লাগানো রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।