উজান থেকে আসা পদ্মায় পানি বাড়ার সাথে সাথে ¯্রােতের গতিবেগ বেড়ে গেছে। ¯্রােতের গতিবেগ আর ফেরি স্বল্পতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে নদী পারের জন্য। তীব্র ¯্রােতের কারণে ফেরি পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে।
যশোর বেনাপোল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক মো: নূর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে নদী পারের জন্য সড়কেই অবস্থান করছে। রাতে সড়কেই নির্ঘুম রাত কেটেছে। এখন পর্যন্ত তারা ফেরির দেখা পায়নি। রাতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে সারা রাত জেগে থেকেও নদী পার হতে পারিনি। কখন পার হতে পারব জানিনা।
বুধবার দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দেখা যায়, নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) যারা বিকালে এসেছে তারা আজ সকালে ফেরি পারের টিকিট হাতে পেয়েছে।
দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ১নং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। আর প্রায় ৫০টি ট্রাক অপেক্ষা করছে ট্রার্মিনালে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অপচনশীল ও যাত্রীবাহী বাসগুলো নদী পার করায় এখন পর্যন্ত ঘাটে তাদের কোন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছেনা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, তীব্র ¯্রােতের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমান নদী পার হতে অনেক বেশি সময় লাগছে। যার কারণে ফেরিগুলোর ঘাটে ভিড়তে কিছুটার সময় বেশি লাগছে। এ কারণে ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের কিছুটা চাপ রয়েছে। বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।