নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে দুইজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এ নিয়ে উপজেলা ক্যাম্পাসে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে গত ২ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে পতœীতলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। ৩জুলাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন হাবিবুর রহমান। নিয়ম অনুযায়ী আদেশের ২৪ঘন্টার মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার কথা থাকলে রবিউল ইসলাম পতœীতলাতেই অফিস করছেন। এ কারণে একই অফিস পরিচালিত হচ্ছে ২জন কর্মকর্তা দিয়ে। এ নিয়ে শিক্ষক ও অফিস কর্মকর্তারা পড়েছেন বেশ বিপাকে।
এ বিষয়ে নতুন যোগদানকৃত শিক্ষা কর্মকর্তা মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ৩ জুলাই যোগদান করেছি। নিয়মিত অফিস করলেও এখন পর্যন্ত দায়িত্ব বুঝে পাইনি। আগের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝে দিতে বললেও দিচ্ছি দিবো বলে কালক্ষেপণ করছেন। কবে দায়িত্ব বুঝে পাব জানিনা। এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এর সাথে যোগাযো করা হলে তিনি বলেন, আমি অনতিবিলম্বে চার্জ বুঝে দিবো।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন,আমি আগের শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝে দিতে বলেছি। বৃহস্পতিবাবের মধ্যেই দায়িত্ব বুঝে দিবেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এরপর দায়িত্ব বুঝে না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।