রাজশাহীর মোহনপুরে সমবায় কর্মকতাকে হত্যার উদ্দ্যেশে গভীর রাতে তারা বাড়িতে ঢুকে ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে মামলার প্রধান আসামি ও মেয়ের সাবেক স্বামী জাহিদ আক্তার মধু (৩০)। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এজাহারভুক্ত তিন আসামির মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, সমবায় কর্মকর্তার ছোট মেয়ের তালাকের পর থেকে সাবেক জামাই জাহিদ আক্তার মধু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ৩০ জুন (রোববার) গভীর রাতে মোহনপুর সরকারি কৃষি ব্যাংকে উত্তর পাশে সমবায় কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন একাই থাকার তথ্য নিশ্চিত হয়ে হত্যার উদ্দেশে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ছোট মেয়ের সাবেক স্বামী জাহিদ আক্তার মধু (৩০), সইপাড়া গ্রামের এমাজ উদ্দিনের ছেলে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মোরশেদ আলী (৩০), মোহনপুর গ্রামের হৃয়দ হোসেন (২০)। তারা প্রথমে সমবায় কর্মকতার মুখে স্কচটেপ মেরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। সফল হতে না পেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও হাতে আঘাত করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে মেয়ের সাবেক স্বামী জাহিদ আক্তার মধু। জাহিদ আক্তার মধু নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর সাতরা বাজার গ্রামের সোবাহান আলীর ছেলে। এদিকে গত ৫ জুলাই (শুক্রবার) ওই মামলার এজারভুক্ত আসামি হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মোরশেদ আলী (৩৮) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, প্রধান আসামি জাহিদ আক্তার মধু ও মোরশেদ আলীকে পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। ওই দুই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের হয়ে আসবে।