ব্রাজিলের জন্য দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকা জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন দলটির ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুস। আর জাতীয় দলের হয়ে এই চাপের মধ্যে খেলাটা তাকে খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতি করতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস তরুণ এই ফুটবলারের।
রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে দারুণ খেলেন জেসুস। এভেরতনের দলকে এগিয়ে নেওয়া গোলে বড় অবদান রাখার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার। তবে ৭০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন তিনি। তাতে অবশ্য ব্রাজিলের জয়ের পথে কোনো সমস্যা হয়নি, ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। পরে সতীর্থদের সঙ্গে শিরোপা উদযাপনে যোগ দেন জেসুস।
এবারের কোপা আমেরিকায় শুরুতে চেনা ছন্দে ছিলেন না জেসুস। ভুগছিলেন গোল খরায়। তাতে সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি। তবে সেমি-ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করার পর ফাইনালে আলো ছড়ান ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
সম্প্রতি ইএসপিএন ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেসুস জানান, চাপের মুখে সমালোচনা সইয়ে মাথা ঠা-া রেখে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন তিনি।
“এটা যে কারো সঙ্গে ঘটতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা আমার সঙ্গে ঘটেছে। তবে আমি মাথা ঠা-া রেখেছি এবং উন্নতি করেছি। আমি সবসময় খেলোয়াড় ও ব্যক্তি হিসেবে উন্নতি করতে চাই আর সেটাই হয়েছে।”
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে (২০১৮) বিশ্বকাপে আমি গোল করিনি আর কোপা আমেরিকার মাঝপথে মানুষ এটা নিয়ে কথা বলছিল।ৃসমালোচনার সয়েই আমি উন্নতি করতে চাই যা আমি করতে পারি। সবসময়ই এরকম কিছু থাকবে, ঠিক প্রশংসার মতো।”
জাতীয় দলে পাওয়া এই ছন্দ ক্লাবেও ধরে রাখতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জেসুস। তবে সেজন্য নিয়মিত ও আরও বেশি সময় খেলার সুযোগ চান তিনি। গত মৌসুমে প্রায়ই শুরুর একাদশের বাইরে ছিলেন জেসুস। মৌসুম জুড়ে দলটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার প্রথম পছন্দ ছিল আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরো।
“কোচ (পেপ গুয়ার্দিওলার) প্রতি সম্মান রেখে আমি দলের সঙ্গে জড়িত হতে চাই এবং সতীর্থদের সাহায্য করতে চাই। অবশ্যই আমি বেশি মিনিট খেলতে চাই। গত মৌসুমে আমি খুব বেশি খেলিনি। আশা করি, এবার আরেকটু বেশি খেলতে পারব।ৃআমাকে শক্ত হতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যদি সুযোগ পাই তাহলে আমি তা হাতছাড়া করব না।”