১৫ জুলাই ১৯। টানা ১০দিনের বৃষ্টিপাত সহ প্রবল বর্ষনের কারনে
লৌহজং উপজেলার মাওয়া চৌরাস্তা হয়ে,বাজার ও পুরাতন ফেরীঘাট থেকে কান্দিপাড়ার যশলদিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে। বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এ সড়কটিতে সংস্কার না করায় বর্তমানে সড়কটি যানবাহন চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ ১৩,কিলোমিটার এ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মাওয়া থেকে দোহার নবাব গঞ্জের যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে ব্যবসায়ীরা যাতায়াতে এইটি।
ঝুঁকি নিয়ে যাবাহন, শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করছে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। এ ছাড়া প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এ সড়কে। তবে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের মাওয়া বাজার, পুরাতন ঘাট, মান্দ্রারহাট, পূর্বে মাওয়া রির্সোট, পশ্চিমে জামান ক্লাবা,এবং কান্দিপাড়া মোড়, ভাগ্যকুলও ফুলতলা, গ্রামের রবিশস্য পরিবহন করতে হয় একমাত্র এ সড়ক দিয়েই।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা রবিশস্য কিনতে এখানে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিনে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করেছে। ফলে চাষীদের উৎপাদিত মৌসুমি ফসল রপ্তানি নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্থা খারাপ থাকায় কোন গাড়ি ও ট্রাক আসতে চায় না। যদিও আসে তবে ভাড়া গুনতে হয় দ্্্্্্ুই তিনগুণ বেশি। পরিবহন খরচ বেশি তাই অনেক সময় লোকসান হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন চেয়ারম্যন হাজী আশরাফ হোসেন খানঁ বলেন, অনেক সময় রাস্তায় গাড়ি আটকে পড়ে, তখন কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলা সম্ভব না। স্থানীয়রা জানান, বেশির ভাগ খারাপ হয়েছে দশ চাকার মোমেন গ্রুপের ট্রাক চলাচলের কারণে এখান দিয়ে চার চাকার ট্রাক চলার ও উপযোগী না। ভারী যাবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি বেহাল দশা। তবে ভারী যানবাহন চলাচল উপযোগী করে মেরামতের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো দরকার ,প্রতি দিন অসহনীয় যানজটে পুহাই ,আমড়া এ সড়কের শৃঙ্খলা চাই।
এদিকে বর্তমানে দেশের একটি প্রতিবন্ধকতার নাম যানজট। দেশের সমগ্র উন্নয়নের পথে বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি করে চলেছে। যানজটের ফলে মানুষ সঠিক সময়ে কর্মস্থলে যেতে পারছে না। ভোগান্তিতে পড়ছেন বিভিন্ন কলখানার মালিকরা। দেশি অর্থনীতির এক বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ অসহনীয় যানজটে।
মহাসড়কের অসহনীয় যানজটে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে পারছেন না। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রেও ভোগান্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়াও শিল্পের কাঁচামাল বহনকারী পরিবহন ঠিক সময় কারখানায় পৌঁছতে না পারায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঠিকভাবে উৎপাদন চালানো অসহনীয় ব্যাপার হয়ে পড়ছে, যা অর্থনীতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
সাধারণ মানুষ সড়কে থেকেই দিন শেষ করছে। জীর্ণ ও পুরনো গাড়ি সড়কে নামানোতে ক্ষণিকের মধ্যেই যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। তাই পুরনো গাড়ি ভালোভাবে সংস্কার করে মাঠে নামাতে হবে, দাবী ভুক্ত ভুগীদের।শ্রীনগর ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মোঃ নিশাদ সিকদার বলেন, ফুটপাতের ওপর থেকে সড়কের জায়গা দখল করে থাকা দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গাড়ি যখন সড়কে একের পর এক চলমান থাকে, তখন এমনিতেই যানজট হয়ে থাকে। তাই যানবাহন চলাচলে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া দরকার। এ ছাড়া সঠিক ট্রাফিক আইন প্রয়োগের অভাবে যানজট সমস্যা কমছে না। ব্যস্ততম এ সড়কে তিনি আরো বলেন,যেমন মাওয়া চৌরাস্তা ও শ্রীনগর বেজগাও ফ্লাইওভার ব্রিজের ব্যবস্থা করতে পারলে যানজট অনেকাংশে নিরসন সম্ভব ও
সড়ক আইন অমান্যকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যা যানজট সমস্যা সমাধানের একটি কৌশল। যানজট নিরসনকল্পে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সচেতন সংশ্লিষ্ট।