গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী মানুষ এবং বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত বন্যার্ত মানুষেরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গাইবান্ধা পৌর এলাকায় ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে ৪ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ত্রিমোহিনীতে প্রায় ছয় কিলোমিটার অংশ ডুবে থাকায় বুধবার বেলা ১১টা থেকে এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
এদিকে গত দু’দিনদিনে সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের গোদারহাট এলাকার সোহাগ (৫) বন্যার পানিতে ডুবে ও সাঘাটার কুন্ডুপাড়ায় উজ্জ্বল কুমার (১৫) সর্প দর্শনে মারা যায় এ ছাড়া সদর উপজেলার ত্রিমোহীনির ফুরবাড়ী এলাকায় বুধবার গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের হেটে খালার বাড়ি যাওয়ার সময় দুপুর ২টায় রাস্তার ভাঙায় পড়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বদিউল ইসলাম বাদল (১৩) পানির স্রোতে ভেসে যায়। পরে তার লাশ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে পাওয়া যায়। এতে গাইবান্ধা পৌর এলাকাসহ পাঁচটি উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।