গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার চরাঞ্চলের বানভাসিদের ত্রাণের বরাদ্দ অপ্রতুল। বন্যা শিবিরগুলোতে এখন ত্রাণ, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের চাহিদা দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার রাত হতে পানি কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ২৫ হতে ৩০ সেন্টিমিটার পানি কমে গেছে। তবে পানি কমার সাথে-সাথে বানভাসিদের মাঝে দেখা দিয়ে নানাবিধ রোগব্যধি, ত্রাণ ও গো-খাদ্য সংকট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী নিজে ওষুধ বিতরণ করছেন। প্রয়োজনের তুলনায় মেডিকেল টিমের সংখ্যা অনেক কম। সে কারণে বানভাসিরা ওষুধ পেতে বিলম্ব হচ্ছে। পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম না থাকার কারণে এখনো অনেক দূর্গম চরাঞ্চলে বানভাসিদের কাছে ওষুধ পৌঁছেনি। বিশেষ করে পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট ও গো-খাদ্যের তীব সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি বেসরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকলেও তা পরিমাণে কম। চরবাসীর দাবি পানি বসতবাড়ি থেকে নেমে গেলেও সহজে বাড়িতে উঠা যাবে না। কারণ ঘরবাড়ির যে অবস্থা না সেরে বাড়িতে থাকা যাবে না। মানুষের চেয়ে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বানভাসিরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী জানান, পানিবন্ধি পরিবারদের মাঝে শুকনো খাবার, ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধ ও গো-খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আরও ত্রাণ সামগ্রীর জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রাই তা বিতরণ করা হবে।