আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, জনগণকে আইনি সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ‘আইনগত সহায়তা প্রদান’ আইন পাস করেন। কারণ আইনের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের সকল জনগনের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সে লক্ষে বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে আইনি সহায়তা সেবার দ্বার উম্মোচন করেছে। সরকার ও রাষ্ট্রের বিধান অনুযায়ী সাধারণ ও অস্বচ্ছল মানুষের আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে তাই আমরা এটি কার্যকর করার লক্ষে চেষ্টা চালাচ্ছি। আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। পরে আদালত চত্তর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে আদালতের শহীদ সোহেল-জগন্নাথ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। “স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে।
ঝালকাঠির সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ রহিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার, সিভিল সার্জন এইচ এম জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া এ সময় জেলার বিচারক, আইনজীবী এবং সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় লিগ্যাল এইডের দুইজন সেরা প্যানেল আইনজীবিকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
আমির হোসেন আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিদেশে সংবিধানে দেশের সকল মানুষকে সম-অধিকার দেয়া হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। তারপুর্বেই তাকে পারিবারিকভাবে শাহাদাৎবরন করতে হয়েছিল। পরে ২১ বছর যারা ক্ষমতার এসেছিলো তারা সংবাধানের ধার ধারেননি, বরংচ খেয়াল খুশিমত দেশ পরিচালনা করে আসছিলো। জাতীয় ৪ মুলনীতি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো। আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনি সেবা দেওয়ার জন্য এই আইনটি পাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আত্মস্বীকৃতি দিয়েছিল। যেহেতু তারা স্বীকৃতি খুনি তাদের বিচারের কোন প্রয়োজন হয়না। তাই আমাদের দাবী ছিল তাদের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্রুনাল মাধ্যমে করা হোক। কিন্তু শেখ হাসিনা বললেন এই দেশে একজন সাধারন নাগরিক যেভাবে একটি হত্যা মামলার বিচারে সুবিধা পায়, ঠিক সেভাবেই এই বিচার কার্যক্রম হবে। আমারদের শঙ্কার মধ্যেও ৫ বছরের মধ্যে এ বিচারের রায় দেওয়া হলো। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা যেতো না। সরকারীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়ায় অনেক গরীব, অসহায় মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে। লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে মানুষ আইনগত সেবার মধ্য দিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।