১৯৮৮ সালের পর এতবড় বন্যা এবারই। বিগত ৩০ বছরে বন্যা হলেও এতবড় আকার ধারন করেনি। যে কারণে উপজেলার উঁচু এলাকার মানুষ বন্যার জন্য আগাম প্রস্তুতিও নেয়নি। হঠাৎ করেই পানি ব্যাপক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় বেশ হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বানভাসী মানুষ। খাদ্য সহ নানা সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। বন্যার পানিতে নলকুপ ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন উপজেলার হলদিয়া, সাঘাটা, ভরতখালী, জুমারবাড়ি, পদুমশহর, বোনারপাড়া ও কচুয়া ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর মানুষ। উপজেলার দলদলিয়া গ্রামের সুনিল চন্দ্রের বাড়ির নলকুপ ৫ দিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। এ সমস্যা শুধু সুনিলের একার নয়। পশ্চিমবাটি গ্রামের হাসিবুর রহমান, ছাটকালপানির বিউট, নজরুল ইসলাম ও শিমুলতাইড় এলাকার চান্দু মিয়া সহ অসংখ্য পরিবার বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন। এদিকে পানিতে তলিয়ে যাওয়া নলকুপের সঠিক পরিসংখ্যান উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেই। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা শাহা আলী জানান, এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে স্থাপন করা ৩৬৩টি নলকুপ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি আসার পর থেকে এ পর্যন্ত উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া পরিবারদের জন্য ৫২টি নতুন নলকুপ স্থাপন, ৯০টি স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপন, ২৬ হাজার ২ শ’ পিচ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৩৭০ টি পানি বহনের জ্যারিকেন বিতরণ ও একটি পানি বিশুদ্ধকরণ আধুনিক মেশিন ভ্রাম্যমান ভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে।