ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন খাল জুড়ে মাটি ভরাট করে বসতভিটে নির্মান করেছেন ওই খালপাড় বসতি মৃত আঃ ছাত্তার ফকিরের ছেলে জালাল ফকির (৪৫)। গত রমজান মাসে ওই দখলদার বাড়ী সংলগ্ন খালটি মাটি ভরাট করে প্রায় পাঁচ শতাংশ সরকারি খাল দখল করে নিয়েছেন। এতে চলতি বর্ষা মৌসুমেও খালটির বিপরীত পাশের বিস্তৃর্ণ ফসলী মাঠে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। আবার ভারী বর্ষনে আটকা পরা পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে খালটি ভরাট করার কারণে ওই গ্রামের কৃষি উৎপাদনে এক বড় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা নাসরীন সরেজমিন পরিদর্শনের পর জানান, “ দখলদারের বাড়ীর সীমানায় ভরাটকৃত জমির মাঝ পয়েন্টে ১৫ ফিট প্রসস্থতা লম্বাকৃতির সরকারি খালের জমি রয়েছে। খালটি ভরাটকালে এলাকাবাসী প্রশাসনকে অবগত করে নাই। কৃষকরা এখন বিপাকে পড়ে অভিযোগ দিয়েছেন। তাই আপাতত ভরাট খালের নিচে পাইপ লাইন সম্প্রসারন করে পানির প্রবাহ চলাচলের জন্য খাল দখলদারকে নির্দেশ দিয়ে এসেছি। পরে পানি কমলে খালটি উন্মুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”। আর দখলদার জালাল ফকির জানায়, “বসত বাড়ীতে চলাচলের স্বার্থে খালটি ভরাটকালে প্রথমে বড় বড় পাইপ ফেলে তার উপরে মাটি ভরাট করেছি এবং এসিল্যান্ড মহোদয়ের উপস্থিতিতেই সেই পাইপের মুখগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছি”।
খাল ভরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলকারী আঃ কাদের বেগ জানান, “ খাল দখলদার এলাকার প্রভাবশালী। সে স্থানীয় মাতুব্বরদের কব্জি করে রমজান মাস জুড়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খালটি ভরাট করেছে। সে সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে কেউ সাহস পায় নাই। কিন্তু খাল আটকা থাকার ফলে সম্প্রতী ফসলী মাঠের ফসল বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকার ফরে কৃষকরা মাথা নাড়া দিয়েছেন”।
জানা যায়, দিয়ারা ২৬/১১ নং পশ্চিম চরভদ্রাসন মৌজার মধ্যে ০১ নং খাস খতিয়ানে দিয়ারা ৩১৩৮ নং দাগের মধ্যে টিলারচর গ্রামে খালটির অবস্থান। প্রায় ১৫ ফুট চওড়া করে পূর্ব দিকের ফসলী মাঠের মধ্যে দিয়ে খালটি বিস্তৃত। শত শত একর কৃষি জমি বেঁচে থাকে ওই খালের পানিতে। তাই এলাকাবাসী দ্রুত ওই বদ্ধ খালটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবী তুলেছেন।