গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কৌশল হিসেবে যৌতুকের দাবী, মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের রসুলপুর (মাঝপাড়া) গ্রামের আঃ বাকী আকন্দের মেয়ে জমিলা আক্তার মৌ এস সহিত আনুমানিক ৬/৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের খাঁ পাড়ার মুছা খানের ছেলে নয়ন ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে কিছু দিন ঘরসংসার করার পর নয়ন তার বাবা, মা সহ কয়েক জনের কুপরামর্শে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে স্ত্রীর উপর অন্যায় ভাবে মারপিট এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করে। এ ছাড়াও গত ১৬ জুন কেনা কাঁটা করার কৌশল করে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী চাপড়ীগঞ্জ বাজারের নিকটে বিশ্ব রোডে উপর বলে তুই আমার জীবন থেকে সরে যাসনে কেন বলতে বলতে স্ত্রীকে মারপিট করতে করতে অজ্ঞান করে ফেলে রেখে চলে যায়। অজ্ঞান জমিলাকে পথচারীরা উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে জমিলার বাবা, মা সহ অতœীয়স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে এসে অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসা শেষে বাড়ী নিয়ে যায়। এসব বিষয় নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছে।
এর পর গত ২৩ জুলাই মামলা মোকদ্দমা মিমাংশার কথা বলে নয়ন সহ উল্লিখিত ব্যাক্তিরা জমিলাকে বাড়ী নিয়ে গিয়ে পূনরায় ঘরের ভিতর তালাবদ্ধ করে রেখে নির্যাতন শুরু করে এবং ননজুডিশিয়াল ষ্টাম্প ও নীল রংয়ের কাগজে জোরপূর্বক সহি স্বাক্ষর নেয়া এবং হত্যার চেষ্টা করে। জমিলার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে প্রাণে রক্ষা করে। এ বিষয়ে জমিলা বাবা আঃ বাকী আকন্দ গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।