জকিগঞ্জের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন ও পরিচালনা নিয়ে মত বিরোধ দেখা দিয়েছে। গত ১৫ জুলাই জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের স্বাক্ষরে ডা. আবদুল হান্নানকে সভাপতি ও আব্দুশ শাকুর চৌধুরী কোকিল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩ বছর মেয়াদে ১১ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরীসহ ১১ জনের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়। মসজিদ পরিচালনায় অন্যায় হস্তক্ষেপ ও তহবিল তসরুপের অভিযোগ এনে ২২ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। মসজিদ এলাকার ১০৯ জন মুসল্লি স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুশ শাকুর চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ আবদুল আজিজ দীর্ঘ ২৩ বছর একই পদে রয়েছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মসজিদের আয়-ব্যয়ের দায়সারা প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আয়-ব্যয় পরিচালনার জন্য মসজিদের কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাই বলেও তারা অভিযোগ করেন। কমিটি গঠনে যথাযথভাবে স্থানীয় মুসল্লিদের সম্পৃক্ততা ও সরকারী গ্যাজেটের কোন নির্দেশনা মানা হয়নি। তারা অভিযোগ করেন, মসজিদের ভূমিতে মার্কেটের প্রচুর আয় থাকলেও মুসল্লিরা কখনো মসজিদের আয়-ব্যয় ও তহবিল সম্পর্কে জানতে পারেননি।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ পৌর মেয়র হাজি খলিল উদ্দিন বলেন, ২৮ জুন ও ৩ জুলাই কমিটি গঠন সংক্রান্ত বৈঠকের সর্বসম্মত সিন্ধান্তের আলোকে হাজি মোঃ সামছ উদ্দিন ও কাজী মোঃ হিফজুর রহমান প্রদত্ত তালিকায় প্রদত্ত নাম থেকে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক আবদুস শাকুর কোকিল মিয়া জানান, সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় প্রস্তুতি থাকা স্বত্বেও মসজিদের ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়নি। শিগগির নতুন হিসাব খোলে মসজিদের ব্যয়ের পর উদ্বৃত্ত প্রায় ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখা হবে।
জকিগঞ্জের ইউএনও বিজন কুমার সিনহা জানান, খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি সুষ্টু সমাধানের জন্য সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করা হবে।