ইন্দুরকানীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী জলিল দুবৃত্তের হাতে খুন হয়েছে। জানা যায়, বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী মিল বাড়ি এলাকায় সতীশ চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে শীভেস্বর এর ঘরের পাশে একদল দুর্বৃত্ত কালাইয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ আলী হাওলাদারের ছেলে আঃ জলিল হাওলাদার ওরফে রগকাটা ডাকাত জলিল (৫০) কে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে খুন করে। তার ঘাড়, মাথা, হাত, পিঠে ও পুরুষঙ্গ কর্তন সহ ১৩টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশটি ঘিরে রাখে। পিরোজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আহমেদ মাইনুল হাসান ঘটনা স্থল পরিদর্শণ করেন। নিহত জলিলের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় ডাকাতি সহ ৬টি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরী এবং দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী জলিলের কারণে প্রতিবেশী ইন্দুরকানী গ্রামের আঃ রহমান ৩ মাস ধরে বাড়ি ছাড়া। এর আগে আঃ মান্নান হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির ১২ বছর পূর্বে রগ কেটে দেয়। তার বিরুদ্ধে এলাকায় শত শত সন্ত্রাসী অভিযোগ রয়েছে। তার ভয়ে এলাকায় বেশীরভাগই সাধরণ মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারতো না। সন্ত্রাসী জলিল খুন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা খুবই খুশি।
জলিলের ১ম স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, সুভাস ও সুমন নামে দুই ব্যক্তি আমার স্বামীকে রাত ১১টার দিকে ডেকে নেয়। আমার স্বামী আধা ঘন্টা পরে আমাকে ফোন দিয়ে বলে চারদিকে অনেক লোকজন আমি বাড়ী দিকে আসতেছি তুমি চিন্তা কর না।
জলিলের মেয়ে ফাতিমা জানান,আব্বু এ মাসে ১৪ তারিখ জেল থেকে বের হয়ে বাড়ী আসার পর কোথাও যাননি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতের আঁধারে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে খুন করেছে। এব্যাপরে তদন্ত চলছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে অভিযান চলছে।