গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ডিসিষ্ট তামান্না হত্যার ৪ দিন পরে গোবিন্দগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে হত্যা মামলা দায়ের। বিচারের আশায় বাদী প্রশাসনের দারে দারে ঘুরছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই উপজেলার মাল্লা গ্রামে জমি জমার অংশের কারণে তামান্নাকে তার বিমাতা ভাই সাইদুল সাহেব আলী সহ ৫/৬ জন তাকে হত্যা করে। এরপর তারা হত্যার দায় এরাতে তামান্নাকে আতহত্যা দেখিয়ে থানায় অবগত করে। থানা হত্যার মূল রহস্য উদঘটনে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের মর্গে প্রেরণ করে। তামান্নার মা রওশন আরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার ৪ দিন পর গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চৌকি আদালতে উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয় সহ ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ,যাহা পুলিশের তদন্তে রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ্য তামান্না মাল্লা গ্রামের মৃত আজতুল্ল্যার ছেলে দারাজের ২য় স্ত্রী রওশন আরা এর দ্বিতীয় মেয়ে আর বড় মেয়ে ফারজানা। দারাজ তার ছোট স্ত্রীর ২ মেয়েকে কিছু জমি রেজিষ্ট্রিমূলে দান করেন। এতে তার বড় স্ত্রীর ছেলেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে জমি রক্ষার কৌশল হিসেবে এই হত্যা কান্ড ঘটায়। তামান্না ঢাকায় একটি গার্মেন্টস এ চাকরী করত। ঘটনার আগের দিন তার বিমাতা ভাই মোবাইল ফোনে তাকে জরুরী বাড়ী আসতে বলে। পরের দিন সে বাড়ীতে আসলে তার কাছ থেকে জোর পূর্বক দলিলে স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করে, সে স্বাক্ষর না করায় তাকে কৌশলে হত্যা করে মুখে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে রাখে।
হত্যাকারীরা হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে ঘটনার ৪ দিন পর তামান্নার মা বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চৌকি আদালতে উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয় সহ ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে তার মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।