ফরিদপুরে বে-সরকারী এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম করতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় পুলিশের এসআই আল ইমরান (২৮)ধরা পড়েছেন। শুক্রবার ভোরে শহরের ঝিলটুলী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীসহ মাহমুদা রহমান বৃষ্টি ও পুলিশেরওই পিএসআইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ব্যাংক কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তার স্ত্রী, এক সন্তানের জননীর সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের কাঞ্চন মুন্সীর পুত্র, পুলিশের পিএসআই (বর্তমানে রাজবাড়ী থানায় কর্মরত) আল ইমরানের। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা শহরের ঝিলটুলী এলাকার রেইনবো স্কুলের পাশে একটি ফ্ল্যাটে ঘুমিয়ে পরলে এসআই আলইমরান ওই ফ্লাটের অন্য একটি কক্ষে নিয়ে আসে বৃষ্টি। রাতে এক পরযায়ে ওই ব্যাংকার বিষয়টি টের পান। পরে তিনি হাতে নাতে তাদের ধরে ফেলেন। এসময় তার উপর ওরা দুজনে হামলা করতে গেলে কৌশলে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে থানায় চলে আসেন।
পরে কোতয়ালী থানা পুলিশকে খবর পেয়ে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ী কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি ৯ বছর আগে একই সদরের আড়ুয়াপড়া হাউজিং মহল্লার মাহমুদা রহমানবৃষ্টি নামের ওই মহিলাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৭ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। নানা ভাবে বুঝিয়েও তাকে এ পথ থেকে ফেরানো যায়নি। তিনিজানান, এ ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন।কোতয়ালী থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, অভিযোগের ভিক্তিতে পুলিশের পিএসআইসহ ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।পরকীয়ার বিষয়টি আটক দুইজনই প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়াহবে।