ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নে শনিবার ৫শ’ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে কম পরিমানে ত্রানের চাল বিতরন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। প্রতি পরিবারে ১০ কেজি করে চাল বিতরনের শর্ত থাকলেও সাড়ে ৮ কেজি পরিমানে বিতরন করা হয়েছে বলে বন্যার্তরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার উপজেলা খাদ্য গুদামের উন্মুক্ত চত্তর থেকে সদর ইউনিয়নের বন্যার্ত প্রতি পরিবারে ১০ কেজি করে ৫শ’ পরিবারের মাঝে মোট ৫. মে.টন চাল বিতরন করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বিতরনকারীরা প্রতি পরিবারে একটি বালতির গলা সমান করে চাল বিতরন করেন। এতে বিতরনকারীরা ১০ কেজি পরিমান চাল বিতরনের বুঝ দেওয়ার পর বাটখাড়ায় মেপে দেখনে চালের পরিমান রয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ কেজি। বন্যা দুর্গত উপজেলা সদর ইউনিয়নের কেএম ডাঙ্গী গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫০) বলেন, “ লম্বা সারি লাইনে ভীরের মধ্যে বালতি ভরে চাল বিতরনের সময় কোনো মতে গলা সমান করে ব্যাগে চাল ভরে দিয়ে ১০ কেজি বলে বুঝ দেওয়া হয়েছে”। একই ইউনিয়নের ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের বন্যা দুর্গত আছমান আক্তার (৫৫) জানায়, “ চাল বিতরনকালে জনগনের ভীরের মধ্যে আমাদের অভিযোগ কেউ শোনে না, বরং প্রতিবাদ করলে আমাদের শাষিয়ে দেওয়া হয়”।
এ ব্যাপারে চাল বিতরনের ট্যাগ কর্মকর্তা উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা ইউনুছুর রহমানকে জিজ্ঞেসন করলে তিনি বলেন, “ আমি যোহরের নামাজের ওয়াক্তে মসজিদে গিয়েছিলাম। এ সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। আর এ ফাঁকে কিছু বন্যার্ত পরিরারের মাঝে ত্রানের চাল কম দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি”। একই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, “ যেসব বন্যার্ত পরিবারে কমপরিমানে চাল দেওয়া হয়েছে তাদের পূনঃবার ডেকে এনে আমি চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করবো”। চরভদ্রাসন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান বলেন, “ ত্রানের চাল বিতরন উদ্বোধন করে আমি উপজেলায় নির্মানাধীন পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্প এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি’র সাথে পরিদর্শন কাজে ব্যস্ত আছি। বন্যার্তদের মাঝে বিতরনকৃত চালের পরিমান কম হওয়ার কথা না। অভিযোগটি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান”।