ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করার পর থেকে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহে জেলার চারটি উপজেলার পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়াল খা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে নদী পাড়ে তিন শতাধিক বসবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে, ওই সকল ভিটা-মাটি নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে। এছাড়াও নদীর গর্ভে গেছে কয়েশ একর ফসলী জমি।
ফরিদপুর পানি পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদী চরভদ্রাসন উপজেলার এমপি ডাঙ্গী, মধুমতি নদী আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ও গোপালপুর ইউনিয়ন ও মধুখালী উপজেলার কামারখালী ও ডুমাইন ইউনিয়নে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, এছাড়াও আড়িয়াল খা নদ সদরপুর উপজেলার চরনাছিরপুর ইউনিয়নে বিস্তৃণ এলাকা নিয়ে ভাঙ্গনছে।
এদিকে ভাঙ্গন রোধে জরুরী কাজ শুরু করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত কাল ফরিদপুর-১ আসনের এমপি মনজুর হোসেন জেলা আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ও গোপালপুর ইউনিয়নে মধুমতির নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পাউবো নদী ভাঙ্গন রোধের কাজের উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান, ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নদ-নদীগুলো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, নদীতে এখন প্রচুন ¯্রােত হওয়ায় ভাঙ্গন মাত্রাও অনেক বেশি।
এই ভাঙ্গন রোধে আমরা প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে সেই ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করছি।
তিনি জানান, পাচুড়িয়া, ডুমাইন, চরনাছিরপুর ও এমপি ডাঙ্গী এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু হয়েছে।