বন্যার পানি কমে গেলেও ক্ষতের চিন্হ চারদিকে। যেকোন দিকে তাকালেই চোখে পড়বে ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য। বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাটে কোথাও বাশেঁর সাকো আবার কোথাও মাটির বস্তা ফেলে কোনমতে পাড়াপাড় হলেও ভেঙে যাওয়া ব্রিজ-কালভার্টের বড় অংশ গুলোতে অল্প সময়ে যানবাহন চলাচলের সম্ভব না থাকায় ঈদ যাত্রা নিয়ে চিন্তিত গাইবান্ধার সাঘাটাবাসী।
বন্যার পানির প্রচন্ড চাপে উপজেলার বোনারপাড়া-ত্রিমোহনী সড়কের পল্টুরমোড় ব্রিজ, ভুতমারা সড়কের রেলগেট ব্রিজ, বাটি ব্রিজের এপ্রোচ, মহিমাগন্জ সড়কের রেল সড়ক সেতুর এপ্রোচ, ওয়ারেছ চেয়ারম্যানের বাড়ির ব্রিজ সংযোগ, জুমারবাড়ির কাঠুর সড়ক, গাছাবাড়ির রেলগেট কালভার্ট, সাঘাটা-গাইবান্ধা সড়কের পোড়াবাড়ি বাধঁ, মিয়ারবাজার-নয়াবন্দর সড়ক, গোবিন্দপুর ধোয়ার ভিটা রাস্তা, হলদিয়া সড়ক, গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়া সড়ক, হলদিয়ার চানপাড়া সড়ক ও ভরতখালী সড়কের ফায়ার সার্ভিসের নিকট ভেঙে ভেসে গেছে। সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে ইউনিয়ন গুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পড়ে। এসব সড়কে কোন যানবাহনই চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, ভেঙে যাওয়া স্থান গুলোতে এলাকার লোকজনের কষ্ট লাঘবে স্থানীয় ভাবে নিজ উদ্যোগেই বাশঁ ও কাঠের সাকো তৈরি করে পাড়াপাড়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। ৫টি স্থানে সাকো তৈরি ও মাটির বস্তা ফেলে অস্থায়ী ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতায় অস্থায়ী ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজ ও সড়কের তালিকা প্রণয়ন করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।