আর দু’দিন পরই ঈদ। তাই ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে উপকুলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রার পশুর হাটগুলো। প্রতিটি হাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। এবার উপজেলার বিভিন্ন পশুহাটে ভারতীয় গরুর আমদানি না থাকলেও দেশি গরুর আমদানি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই সাথে পশুর দাম নিয়েও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে রয়েছে চরম দ্বিমত। পশুর খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাড়িতে পশু পালন করা কৃষকরা তাদের পশুর দাম হাঁকালেও ক্রেতারা সেটাকে মনে করছেন অনেক বেশি। এদিকে পশু ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন হাটে দেশীয় প্রজাতির গরু স্বাচ্ছন্দ্যে ক্রয় করতে পারায় তারা রয়েছে বেশ স্বস্তিতে। ৫নং কয়রা গ্রামের গোলাম হাওলাদার বলেন এ বছর স্থানীয় বাজারে গরুর দাম অনেক বেশি। তবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পশু পালনকারীরা তাদের পালন করা উন্নত জাতের গরু নিজ এলাকায় বিক্রি না করে বেশি লাভের আশায় পাশ্ববর্তি উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ১নং কয়রা গ্রামের মহির উদ্দিন জানান, সে দু’টি উন্নত জাতের গরু পালন করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় পশুর হাটে ১ টি ভাল দামে বিক্রি করতে পেরেছে অন্যটি বিক্রির আশায় রয়েছে। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, কয়রার পশুর হাটে পুলিশের পক্ষ থেকে সবার্তক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এতে করে ব্যাবসায়ীরা নিবিঘেœভাবে তাদের পশু বিক্রি করতে পারছে।