চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অপেক্ষার পালা শেষে পানির দামে বিক্রি হলো কুরবানির চামড়া। দিনের সূর্যটা বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার হাতছানি দিচ্ছে। এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে কুরবানির চামড়া এসে জড়ো হচ্ছে মড়ল-সর্দারদের উঠোনে। ভিন্ন ভিন্ন স্তুপ করে রাখা হয়েছে গরু ও ছাগলের চামড়া। কিন্তু ক্রেতা-ফড়িয়াদের নেই কোন হুড়োহুড়ি। মাঝে মধ্যে দু’এক জন ক্রেতা এলেও দরে দামে তেমন নেই কোন ডাক-হাঁক। উপজেলা সদর ও পৌর এলাকার যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভলো সেখানে ছাগলের চামড়ার দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং গরু ১২০ থেকে ১৮০ টাকা পাওয়া গেলেও মফস্বল এলাকায় মোবাইল ফোনে ডেকে ডেকে পানির দামে বিক্রি করতে হয়েছে কুরবানির চামড়া। সে ক্ষেত্রে মফস্বল এলাকয় ছাগলের চামড়ার দাম পাওয়া গেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং গরুর চামড়ার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যেখানে গত বছর নাচোলে কুরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে গরু ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ছাগল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। নাচোল পৌর এলাকার এক সমাজপতি (মোড়ল/সর্দার) নুরুজ্জামান বাদল জানান, গত বছর চামড়া বিক্রি করে টাকা পেয়ে ছিলেন ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকা। চামড়া বিক্রির টাকা বিতরণ করা হয় ঈদের পরদিন। প্রতি বছর চামড়া বিক্রির প্রাপ্ত টাকা বিতরণের ধারণা এবং স্থানীয় ও দূর-দুরন্তের দুঃস্থ-ইয়াতিমদের চাহিদানুযায়ী একটা সাধারণ তালিকা থাকে। সে অনুযায়ী গত বছরের চামড়ার টাকা বিতরণ করে আগত ইয়াতিম ও দুঃস্থদেরকে অনেকটাই সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয়ে ছিল। কিন্তু এবার চামড়া বিক্রি করে পাওয়া গেছে মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ টাকা। ওই টাকা বিতরণ শেষে অনেকেই টাকা না পেয়ে বেশ হতাশার মধ্যে দিয়ে ফিরে গেছে। এ অবস্থায় দুঃস্থ-ইয়াতিমদের নুন্যতম প্রতাশা পূরণ না হওয়ায় ঈদুল আজহার উদ্ভাসিত আনন্দ ফিকে হলো ১ দিন পরেই।