লাইফ স্টাইল এন্ড হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় ”Realistic Evaluation of the health education intervention delivery approach and identification of the challenges for targeted audience” এর বাস্তবায়িত জরিপ কাজের অংশ হিসেবে এক ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন “FGD” এর আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরে বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে এক্সপার্ট কমিউনিকেশনের তত্তাবধানে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান । এসময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সব্যসাচী, মেডিকেল অফিসার ডা. আজাদ হোসেন, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সৈয়দ জলিল , কনফার্ম ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও এক্সপার্ট কমিউনিকেশন প্রতিনিধি মো: জালাল উদ্দীন, অভিজিৎ, দেলোয়ার হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিগণসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যয়াম ও হাঁটাচলা করতে হবে। আরও বেশি বেশি আমাদের প্রচার করতে হবে। নিয়মিত ওষুধের বিকল্প নেই এবং কাউন্সিলিং এর কোন বিকল্প নেই। অর্থনীতি উন্নত হওয়ায় কারণে মানুষ ফাস্টফুডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। বিশেষ করে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সহজে শিখতে ও জানতে পারবে।
উপস্থিত অন্যান্য প্রতিনিধিগণ বলেন, অগ্নিকান্ডে জানমালের ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে ও শিল্প কারখানাতে। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধের বিষয় গুলো নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম আরও বেশি করে নিতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজের পরিবারের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে।
উপস্থিত সকলেই একটি বিষয় মতামত প্রদান করেন যে বর্তমানে স্যোসাল মিডিয়ার যুগে ভিডিও ডকুমেন্টস নিয়ে করে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করলে সহজে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তাহলে মানুষ সচেতন হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এক্সপার্ট কমিউনিকেশনের মো. জালাল উদ্দীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে লাইফস্টাইল হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের লাইন ডিরেক্টর ডাক্তার মিজানুর রহমান আরিফ গবেষণা প্রকল্পটি সমন্বয় করছেন।