লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সহপাটিতে সাথে খেলতে গিয়ে ডোবার পানিতে মারাগেছে ৭ বছরের শিশু সুমাইয়া আক্তার ও তার সহপাটি
১০ বছরের শিশু মিম আক্তার। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে রায়পুর পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের হালিমা মাদ্রাসার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তারা দুজনেই হালিমা মাদ্রাসার দ্বিতীয় ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। এ ছাড়া সুমাইয়া আক্তার (৭) এলাকার ময়মনসিং জেলায় বাসিন্দা ভাড়াটে নজরুল ইসলামের মেয়ে ও তার সহপাটি মিম আক্তার বায়পুর উপজেরার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে বাসিন্দ মিজানের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান,তারা চাকুরীর সুবাদে উভয়ে পরিবার নিয়ে এখানে বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর নাজমুল কাদের গুলজার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান,হাসপাতাল থেকে দুই শিশুকে মৃত ঘোষণার পর স্বজনেরা দুই শিশুর মৃতদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় তিনিসহ এলাকার কয়েক শ লোক শিশু দুটির মৃতদেহ দেখার জন্য ভিড় ঝমায়।
নিহত দুই শিশুর স্বজনরা জানান, বিকাল থেকেই হালিমা মাদ্রাসার সাথে খোলা স্থানে প্রতিবেশী আরও কয়েকজন শিশুসহ সুমাইয়া ও মিম খেলা-দুলা করছিল। খেলার সময় সুমাইয়ার পায়ে কাদা লাগলে সে পা পরিষ্কার করার জন্য মাদ্রাসার পাশের ডোবায় যায়। এ সময় হঠাৎ পা পিছলে সে ডোবার পানিতে পড়ে ডুবে যায়। ডোবার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা মিম তাকে উদ্ধার করতে গেলে সেও পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে সেখানে থাকা অন্য শিশুরা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে।পরে দুই শিশুকে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এ ছাড়া প্রাথমিক তদন্তেও দুই শিশুর মৃত্যু নির্মম দুর্ঘটনা বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। মৃত দুই শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তাদের পারিবারিক ভাবে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।